দুই বছর আগে খুব কাছে গিয়েও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা ঘরে তুলতে পারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। আবারও সেই পুরনো স্মৃতি সঙ্গী হবে নাকি ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের ইউরোপ সেরার মঞ্চে ট্রফি উঁচিয়ে ধরবে তার উত্তর মিলবে আর কয়েক ঘন্টা পরেই। এবার তাদের প্রতিপক্ষ ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান। ১৩ বছর পর স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে ফাইনাল খেলবে সেরি আ’র ক্লাবটি।
ইস্তাম্বুলের আতাতুর্ক অলিম্পিক স্টেডিয়ামে শনিবার হতে চলেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ৬৮তম ফাইনাল। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানসিটি ও ইতালিয়ান লিগ সিরি আ’র ক্লাব ইন্টার মিলানের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়। রোমাঞ্চকর ম্যাচের আগে দেখে নেয়া যাক দু’দলের পরিসংখ্যান-ইতিহাস।
চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত ফর্মে আছে পেপ গার্দিওলার ম্যানসিটি। লিগ শিরোপা ও নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে হারিয়ে এফএ কাপ জয়ের পর চোখ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে। জিতলে সিটিজেনদের কোচ হিসেবে ট্রেবল জয়ের কীর্তি গড়বেন স্প্যানিশ গার্দিওলা।
গত সপ্তাহে ফাইনাল নিয়ে ৫২ বর্ষী কোচ বলেছিলেন, ‘যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে পৌঁছাবেন, সেটি উদযাপন করতে হবে। সত্যি বলতে ইতালীয় দলের বিপক্ষে ফাইনাল সবসময় সেরা উপহার নাও হতে পারে। তারা প্রতিযোগিতামূলক খেলতে পছন্দ করে। সেমিফাইনালে তাদের জয় প্রশংসা কুড়িয়েছে। তবে আমাদের মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে।’
ইন্টারের সামনেও এই মৌসুমে তৃতীয় শিরোপা জয়ের হাতছানি। ইতিমধ্যেই তারা ইতালিয়ান কাপ ও ইতালিয়ান সুপার কাপ জিতেছে। যদিও সিরি আ’তে পয়েন্ট টেবিলে তিনে থেকে মৌসুম শেষ করেছে দলটি।
সিমোন ইনজাঘির কোচিংয়ে ২০১০ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল উঠেছে ইন্টার। আগে ইন্টার তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা জিতলেও ইউরোপসেরার মঞ্চে একবারও ট্রফি উঁচিয়ে ধরতে পারেনি ম্যানসিটি।
২০১১-১২ মৌসুমে প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার যোগ্যতা অর্জন করার পর অবশ্য প্রতিটি মৌসুমেই খেলেছে ম্যানসিটি। ২০১২ থেকে ২০১৮- এই প্রতিযোগিতায় ছিল না ইন্টার। শুধু গত মৌসুমে প্রথমবারের মতো নকআউট রাউন্ডে উঠতে পেরেছিল সিমোন ইনজাঘির দল।
৪৭ বর্ষী কোচ বলেছিলেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল আমাদের জন্য স্বপ্ন হলেও আমাদের বিশ্বাস ছিল। এখানে আসতে পেরে আমি গর্বিত। এসব কোনো কিছুই কেউ আমাদের দিয়ে যায়নি, আমরা তা অর্জন করেছি, যার সবটাই আমাদের প্রাপ্য। এখন স্বপ্ন সত্যি করতে ফাইনাল ম্যাচটি খেলতে হবে। সেমিফাইনালে একটি ডার্বি ম্যাচ জিতে ফাইনালে আসার পথটা ছিল অসাধারণ। সেই ম্যাচটি আমাদের বিশেষ তৃপ্তি দিয়েছে।’
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ছয় ম্যাচে চার জয় ও একটি করে পরাজয় ও হার রয়েছে সিটিজেনদের, বিপরীতে শেষ ম্যাচের পাঁচটিতেই জিতেছে ইন্টার। মাত্র এক ম্যাচে হেরেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কখনও মুখোমুখি হয়নি সিটি ও ইন্টার। তবে দু’বার মুখোমুখি হওয়ার ইতিহাস আছে। যাতে একবার করে জয়ের স্বাদ নিয়েছে উভয় দলই।
বিজ্ঞাপন