ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানা শহরে বিএনপি ও মহিলা আওয়ামী লীগের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনছারুল ইসলাম, ছাত্রলীগের আনারুল, সোহেল রানা ও জাহাঙ্গীর উভয় গ্রুপের কর্মপক্ষে ২৫-২৬ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার বিকালে রুহিয়া চৌরাস্তা মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে ২০ জনকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বলে নিশ্চিত করেন হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. ফিরোজ জামান জুয়েল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল পোনে ৫টার দিকে দুইটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় রুহিয়া থানা শহরের দোকান-পাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা নিরাপদে আশ্রয় নেয়। পথচারীরা প্রাণের ভয়ে ছুটাছুটি করে পালিয়ে নিজেকে রক্ষা করে। প্রায় ১৫-২০ মিনিট সংঘর্ষ চলে। পরে ঠাকুরগাঁও থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ও দমকল বাহিনী এসে উত্তপ্ত পরিস্তিতি ও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
অগ্নিকাণ্ডে ২টি মোটর সাইকেল ও কিছু জিনিসপত্র পুড়ে যায় বলে জানান ঠাকুরগাঁও ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সহকারী কর্মকর্তা রেদয়ানুজ্জামান।
রুহিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ বাবু বলেন, বিএনপি’র মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের উপর গুলি বর্ষণ করা হয় এবং তাদের নেতাকর্মীদের মারধর ও মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আহত ছাত্রলীগ কর্মী মাহিমকে গুলি বিদ্ধ অবস্থায় সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তাদের অর্ধশত নেতা কর্মী এ ঘটনায় আহত হয়েছেন। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পক্ষান্তরে বিএনপি’র জেলা সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিকালে দলীয় কার্যালয়ে সমাবেশ শেষ করে মিছিল নিয়ে রুহিয়া কর্ণফুলী সিনেমা হলের দিকে গিয়ে কর্মসূচি শেষ করি। ওই সময় বিপরীত দিক থেকে বিক্ষিপ্ত আওয়ামী লীগ কর্মীরা সমাবেশ আশা বিএনপি নেতাকর্মীদের আহত করে এবং সমাবেশ শেষে তাদের মারধর ও কর্মীদের মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে। তাছাড়া মহিলা লীগের মিটিং ছিল রামনাথ হাট এলাকায়। তারাই এগিয়ে এসে বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দেয় এবং হামলা চালায়।
বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তাদের ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। আহতদের আটোয়ারি ও ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রুহিয়া থানা ওসি সোহেল রানা বলেন, কেউ গুলিবিদ্ধ হয়েছে কিনা আমাদের জানা নেই। তবে ৫-৬জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কোন প্রকার উত্তেজনা নেই।
বিজ্ঞাপন