১৪ রানের আক্ষেপ কোহলির

সবশেষ ২০১৯ সালে টেস্টে শতক পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। পরে কেটে যায় সাড়ে তিন বছর। ২৪তম ম্যাচে এসে ক্যারিয়ারের ২৮তম শতকটির দেখা পেয়েছেন কিংবদন্তি ব্যাটার। তবুও আহমেদাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আক্ষেপ নিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে ভারতীয় মহাতারকাকে। ১৪ রানের জন্য যে পাননি ক্যারিয়ারের অষ্টম ‘ডাবল সেঞ্চুরি’।

রানখরা ও আড়াই দিনে গাভাস্কার-বোর্ডার ট্রফি সিরিজের তিন টেস্ট শেষ হওয়ার পর শেষ ম্যাচে রানের বন্যা বইছে আহমেদাবাদে। উসমান খাজা ও ক্যামেরন গ্রিনের সেঞ্চুরিতে ৪৮০ রানে প্রথম ইনিংস শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার।

জবাবে শুভমন গিলের ১২৮ ও কোহলির ১৮৬ রানে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৫৭১ রানে প্রথম ইনিংস শেষ করেছে ভারত। চতুর্থ দিনের একেবারে শেষদিকে অস্ট্রেলিয়া ব্যাটে নেমেছে ৯১ রানে পিছিয়ে থেকে। দিন শেষে সফরকারী দলের সংগ্রহ কোন উইকেট না হারিয়ে ৩ রান।

রোববার চতুর্থ দিনে ১৯১ রানে পিছিয়ে থেকে ৭ উইকেট হাতে রেখে ব্যাটে নামে ভারত। দিনের শুরুতে ৩০৯ রানে জাদেজাকে হারায় স্বাগতিক দল। ৮৪ বলে ২৮ রান করেন তিনি। ৩৯৩ রানে আউট হন শ্রীকর ভরত। কোহলিকে সঙ্গ দিয়েছেন ৮৮ বলে ৪৪ রান করে। ততক্ষণে কোহলি ২৮তম শতকের দেখা পেয়ে যান।

ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে অক্ষর প্যাটেলকে নিয়ে ১৬২ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়ার ৪৮০ টপকান কোহলি। ৫৫৫ রানে স্টার্কের শিকার হন প্যাটেল। বোল্ড হওয়ার আগ পর্যন্ত ১১৩ বলে ৭৯ রানের ইনিংস খেলে যান।

এরপর দ্রুতই আরও দুই উইকেট হারায় রোহিত শর্মার দল। সাজঘরে ফেরেন অশ্বিন (৭) ও উমেশ যাদব (০)। ৫৭১ রানে টড মারফির শিকার হন বিরাট কোহলি। ৩৬৪ বলে ১৮৬ রানের ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। চোটের কারণে শ্রেয়াস আয়ার নামতে না পারায় ভারতের ইনিংস থামে সেখানেই।

ইনিংসে আরও ১৪ রান যোগ করতে পারলে কোহলি পেতেন ক্যারিয়ারের অষ্টম ‘ডাবল সেঞ্চুরি’। ব্যবধান কমানোর সুযোগ ছিল স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের ১২ ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শের দৌড়ে। প্রয়াত ইংলিশ কিংবদন্তি ওয়াল্টার রেগিনাল্ড হামন্ডের সমান ৭টি ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে তালিকার পাঁচে কোহলি। ১১ ডাবল সেঞ্চুরি নিয়ে দুইয়ে সাবেক লঙ্কান কুমার সাঙ্গাকারা, ৯ ডাবল সেঞ্চুরিতে তিনে ক্রিকেটের বরপুত্র ব্রায়ান চার্লস লারা।

কোহলি টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম ‘ডাবল সেঞ্চুরি’র দেখা পেয়েছিলেন ২০১৬ সালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে করেছিলেন ২০০ রান। ৮ ইনিংস পরেই ইন্দোরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেন দ্বিতীয় ‘ডাবল সেঞ্চুরি’। সেবার ২১১ রান করেন। তার সাত ইনিংস পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৩৫ রান করেন।

এক ম্যাচ পর হায়দ্রাবাদে বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০৪ রান করে ক্যারিয়ারে চতুর্থ ‘ডাবল সেঞ্চুরি’ করেন ভারতীয় মহাতারকা। পরে ২০১৭ সালে এসে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে দুই দ্বিশতকের ইনিংস খেলেন। নাগপুরে ২১৩, দিল্লিতে করেন ২৪৩ রান। সবশেষ ২০১৯ সালে পুনেতে সাউথ আফ্রিকার বিপক্ষে অপরাজিত ২৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন।

আহমেদাবাদে ২৮তম শতকে তিন সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে কোহলির ম্যাজিক ফিগারের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৫টিতে। ওয়ানডেতে কোহলির ৪৬টি শতক আছে। টি-টুয়েন্টিতে একটি।

বিজ্ঞাপন

অস্ট্রেলিয়াকোহলিগাভাস্কার-বোর্ডার ট্রফিব্রডম্যানভারতরোহিতলারা