পণ্য আমদানিতে খুঁজতে হবে বিকল্প দেশ

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি পুরো বিশ্বকে গভীর সংকটে ফেলে দিয়েছে। এর প্রভাবে বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। সাথে যুক্ত হয়েছে আমদানি-রপ্তানিসহ ডলার সংকট। এতে দুর্ভোগ দিন দিন বাড়ছে বৈ কমছে না।

এমন পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থতিতে প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশকেও বিকল্প হিসেবে রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়। সেইসাথে আগে থেকেই অপ্রয়োজনীয় বিলাসী পণ্য আমদানি না করতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়ে আসছে।

চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়, সভায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে উদ্ভুত বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জসমূহ ও তা উত্তরণের উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী আমদানির ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশকেও বিকল্প হিসেবে রাখার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়।

আমরা মনে করি, বর্তমান যুদ্ধ পরিস্থিতিতে এ পরামর্শ খুবই যৌক্তিক। জরুরি বিভিন্ন পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে যেকোন এক দেশের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে বিভিন্ন বিকল্প দেশ খোঁজা হলে সংকট কিছুটা হলেও কাটবে। এ বিষয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা একান্ত জরুরি। এছাড়া কোনভাবেই বিলাসী পণ্যসামগ্রী যেন আমদানি করা না হয় বা কমানো হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বাংলাদেশ খুব ভালোভাবে সামাল দিয়েছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে। ঠিক একইভাবে বর্তমান পরিস্থিতিও কাটিয়ে উঠতে হবে। এজন্য মিতব্যয়ী ও সাশ্রয়ী মানসিকতার বিকল্প নেই। যেটুকু প্রয়োজন সেই পণ্য আমদানির জন্য বিকল্প খুঁজে নিতে হবে। এজন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানাই।

আমদানিডলার সংকটরপ্তানিসম্পাদকীয়