কালজয়ী কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ। তার কলম থেমে গেলেও কর্ম অবিচল। গুণী এই কথাশিল্পীর ৭৪তম জন্মদিন রবিবার (১৩ নভেম্বর)। ১৯৪৮ সালের এই দিনে তিনি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের দৌলতপুর গ্রামের নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
কথার জাদুকর হুমায়ূন আহমেদ একাধারে ছিলেন নাট্যকার, চলচ্চিত্র পরিচালক, কবি ও গীতিকার। সাহিত্যের সব জায়গায় ছিল তার সরব উপস্থিতি। কখনও আবার রং-তুলির ছোঁয়ায় রাঙিয়েছেন ক্যানভাসের রংহীন সাদা স্থান।
পিছিয়ে ছিলেন না নির্মাণেও। ছোটপর্দা, বড়পর্দায় তার নানা সৃষ্টি বাঙালির মনে দাগ কেটে থাকবে হাজার বছর।
‘নন্দিত নরকে’ এবং ‘শঙ্খনীল কারাগার’, ‘জোছনা ও জননীর গল্প’, ‘বাদশা নামদার’সহ দুই শতাধিক উপন্যাস লিখেছেন। তার রচিত ‘হিমু’, ‘শুভ্র’, ‘মিসির আলি’র মতো অনবদ্য চরিত্রগুলো আজও মানুষের মন ছুঁয়ে যায়।
আশির দশক থেকে শুরু করে তাঁর নির্মিত ‘বহুব্রীহি’, ‘এইসব দিনরাত্রি’, ‘কোথাও কেউ নেই’র মতো নাটকগুলো বর্তমান প্রজন্মের কাছেও এখনও একইভাবে জনপ্রিয়। ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’, ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্যামল ছায়া’, সর্বশেষ ‘ঘেটুপুত্র কমলা’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
একুশে পদক, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের মতো বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন বাংলাদেশের সাহিত্যের এই অপ্রতিদ্বন্দ্বি লেখক। জন্মদিনে আড়ম্বরতা পছন্দ ছিল না হুমায়ূন আহমেদের। তারপরও তার অবর্তমানে শনিবার (১২ নভেম্বর) বাংলা একাডেমিতে দেওয়া হলো ‘অন্যদিন হুমায়ূন সাহিত্য পুরস্কার ২০২২’।
রবিবার দিনভর নানা আয়োজনে হুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ করবে চ্যানেল আই। এদিন চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে সকাল ১১টা থেকেই বসবে ‘ঐক্য ডট কম ডট বিডি হুমায়ূন মেলা’- পাওয়ার্ড বাই নতুন ধারা ইন অ্যাসোসিয়েশন উইথ মেট্রোসেম।
২০১২ সালের ১৯ জুলাই নির্মাণের মহান এই কারিগর নিউ ইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।