প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ে শূন্য রানের বৃত্তে আটকে ছিলেন সাকিব আল হাসান। তৃতীয় ম্যাচে ২৫ বলে ৪ চার ও এক ছক্কায় ৩৫ রানের ক্যামিও খেলার পর জানিয়েছিলেন ব্যাট হাতে তিনি এখনো ঝলক দেখাতে পারেন। আর সিপিএলে নিজের চতুর্থ ম্যাচে ৩০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ১৭৬.৬৬ স্ট্রাইক রেটে ৫৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে জেতালেন। টানা দুই ম্যাচে হলেন ম্যাচসেরা।
রোববার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে হওয়া ম্যাচে বার্বাডোজ রয়্যালসকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সাকিবের দল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। একটানা ৪ ম্যাচে জয়ের দেখা পাওয়া গায়ানা ১০ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকল। একইসঙ্গে প্লে-অফের টিকিট নিশ্চিত করেছে শিমরন হেটমায়ারের দল।
টসে জিতে আগে ফিল্ডিং নেয়া অ্যামাজনের বোলাররা প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের চেপে ধরে। ১৭.৩ ওভারে ১২৫ রানে অলআউট হয় বার্বাডোজ। জেসন হোল্ডার ৪২ রান করলেও আগ্রাসী ছিলেন না, খেলেন ৩৯ বল।
আগের ম্যাচে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২০ রান খরচায় ৩ উইকেট পেয়েছিলেন সাকিব। বার্বাডোজের বিপক্ষেও বল হাতে ছিলেন বেশ নিয়ন্ত্রিত। তিনি ২.৩ ওভারে ৪.৮০ ইকোনমিতে ১২ রান দিয়ে পান এক উইকেট।
১২৬ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামা গায়ানা ৩.৪ ওভারে ১৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। এরপর চারে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন সাকিব। বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টুয়েন্টি অধিনায়ক আফগান ওপেনার রহমতউল্লাহ গুরবাজকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে দ্রুত ৭৯ রান যোগ করেন।
আক্রমণাত্মক ব্যাট করতে থাকা টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার লেগ সাইড দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিডউইকেটে নাজিবুল্লাহ জাদরানের হাতে ধরা পড়ার আগে দলের জয়ের রাস্তা মসৃণ করে যান। তার ব্যাটিং তাণ্ডবে ৩৩ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখেই জয় পায় গায়ানা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় প্রথম কোয়ালিফায়ারে আবারো বার্বাডোজ রয়্যালসের মুখোমুখি হবে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।