প্রথম নরওয়েজিয়ান হিসেবে কোনো গ্র্যান্ড স্লাম ওপেনের ফাইনালে উঠলেন ক্যাসপার রুড। ২৩ বর্ষী রুড ফ্রেঞ্চ ওপেনের ফাইনালে কিংবদন্তি রাফায়েল নাদালের বিপক্ষে লড়বেন।
শুক্রবার কোর্ট ফিলিপে হওয়া ম্যাচে ২০১৪ সালের ইউএস ওপেন জয়ী ক্রোয়েশিয়ার মারিন চিলিচকে হারিয়ে রুড ফাইনালের টিকিট কাটেন।
ছেলেদের এককের আট নম্বর র্যাঙ্কিংয়ে থাকা রুড প্রথম সেটে চিলিচের কাছে ৬-৩ ব্যবধানে হারেন। পরের সেটে ৬-৪ ব্যবধানে জিতে ঘুরে দাঁড়ান।
তৃতীয় সেটে ঘটে বিপত্তি। এক তরুণী প্রতিবাদকারী নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে দৌড়ে কোর্টে ঢুকে পড়েন। পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী ও ফ্রান্সের নাগরিক ওই তরুণী কোর্টের জালের এক প্রান্তে গিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন। টিকিট কেটেই তিনি গ্যালারিতে এসেছিলেন। প্রতিবাদকারীর পরিহিত টি-শার্টের সামনে ছিল স্লোগান। তাতে লেখা ছিল- ‘আমাদের হাতে ১,০২৮ দিন আছে।’
পরে নিরাপত্তাকর্মীরা প্রতিবাদকারীকে জোর করে তুলে নিয়ে যায় এবং পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। ফ্রেঞ্চ টেনিস ফেডারেশন বিবৃতিতে বলেছে, ‘পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী ফিলিপ চ্যাট্রিয়ার কোর্টে প্রবেশ করতে সক্ষম হন এবং ধাতব তার ও আঠা দিয়ে নিজেকে জালের সঙ্গে আটকে ফেলেন।’
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতি ফ্রান্সের ‘নিষ্ক্রিয়তার’ বিরোধিতা করে আসা একটি গ্রুপের সঙ্গে প্রতিবাদকারী ওই তরুণী যুক্ত আছেন এবং তাদের হয়েই প্রচারণা চালিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় ১৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর খেলা আবারও শুরু হয় এবং তৃতীয় সেট ৬-৪ ব্যবধানে রুড জিতে নেন। চতুর্থ সেটেও একই ব্যবধানে জিতে নিয়ে তিনি ফাইনালে পা রাখেন।
ম্যাচ শেষে রুড বলেন, এটি আমার জন্য দুর্দান্ত ম্যাচ ছিল। আমি শুরুটা ভালো করিনি। তবে মারিন (চিলিচ) প্রথম সেটটি খুব ভাল খেলেছে।
নাদালের সঙ্গে ফাইনালে নামার প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, ‘আমি রাফাকে দেখছি। কোর্টে কীভাবে প্রদর্শন করতে হয় উনি তার নিখুঁত উদাহরণ। কখনো হাল ছাড়েন না এবং অভিযোগ করেন না। তিনি সারাজীবন আমার আদর্শ।’
প্রতিবাদকারীর জন্য খেলা বাধাগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টিকে ‘জটিল এবং কঠিন পরিস্থিতি’ হিসেবে উল্লেখ করে রুড আরও বলেন, ‘আমি কেবল তাকে পেছন দিকটা দেখেছি। তিনি কিছু ধরেছিলেন কিনা কিংবা তার গলায় কিছু ঝুলছিল কিনা, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানতাম না।’