পরিবেশ খাতের প্রস্তাবিত বাজেট বরাবরের মতোই চমকহীন। ২০২২-২৩ অর্থবছরের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত মোট বাজেট বরাদ্দ ১ হাজার ৫শ’ ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। উন্নয়ন খাতে ১ শ’ ৮৬ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের বাজেটে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ যাই হোক বাস্তবায়নকে চ্যালেঞ্জ বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
করোনা পরবর্তী পরিবেশ খাতে গুরুত্ব দেওয়ার পরার্মশ থাকলেও গত দুই-তিন অর্থবছরে এ খাতের বাজেটে তার প্রতিফলন ঘটেনি। তবে, ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে ১ হাজার ৮শ’ ৫০ কোটি টাকার বরাদ্দের পর চলতি বাজেটে প্রথমবার পরিবেশ খাতে বরাদ্দ দেড় হাজার কোটি পার হয়েছে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জন্য ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রস্তাব করা হয়েছে ১ হাজার ৫শ’ ১ কোটি ২৬ লাখ টাকা। উন্নয়ন খাতে রাখা হয়েছে ৭শ’ ৩৮ কোটি ৬৯ লাখ। যা মোট বরাদ্দের ৪৯ দশমিক ২০ শতাংশ। যা গত অর্থবছরের সংশোধিত উন্নয়ন বাজেট থেকে ১শ’ ৩৯ কোটি ১৩ লাখ টাকা বেশি। ২০২০-২১ ও ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে বাজেট বাস্তবায়ন হয়েছে যথাক্রমে ৫৬ শতাংশ ও ৫৪ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
তবে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে তবে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে উপকূল রক্ষা, নদী-জলাশয়, বন ও বন্য প্রাণি সংরক্ষণ, গবেষণা এবং পরিবেশ সুরক্ষায় নজরদারির মতো বিষয়ে বাজেটে তেমন প্রতিফলন ঘটেনি। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের বাইরে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বাজেটে জলবায়ু উদ্বাস্তুদের আবাসন, জলবায়ু সহিষ্ণু কৃষি ও গবেষণা, সুনীল অর্থনীতির উন্নয়ন ও পরিবেশ বান্ধব বস্ত্র ও চামড়া শিল্পে সুবিধা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।