ড. ইউনূসের মামলা: আইনী লড়াইয়ে ‘শক্তি বাড়াতে’ যুক্ত আরেক আইনজীবী

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় বাদী পক্ষে আইনী লড়াইয়ে ‘শক্তি বাড়াতে’ যুক্ত হলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের  আইনজীবী হিসেবে গত সপ্তাহে শ্রম মন্ত্রণালয় তাকে নিযুক্ত করেছে বলে সোমবার জানান এই আইনজীবী।

কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে ড. ইউনূসের মামলা পরিচালনা করে আসা সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান এবিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন,’ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় আমি আইনজীবী হিসেবে কাজ করছি। শুনেছি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে আর একজন আইনজীবী নেয়া হয়েছে। তবে আমি তা জানি না। যদি অন্য কাউকে নেয়া হয়, তবে আমি থাকবো না। কারণ, এই মামলা পরিচালনায় আমার একটা প্রস্তুতি আছে আমার মত করে। সেখানে আর একজন আইনজীবী যদি নেয়া হয়, তাহলে তার ভিন্ন প্রস্তুতি ও ভিন্ন স্টাইলে উপস্থাপন হতে পারে। তাই অন্য কেউ যুক্ত হলে আমি থাকব না।’

এদিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলায় কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের  আইনজীবী হিসেবে গত সপ্তাহে নিযুক্ত হওয়া আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী সাংবাদিকদের বলেন,’উনি এই মামলায় যাবেন বলেই আশাকরি। এর আগে আমরা একসাথে মামলা করেছি। আর একটা মামলায় তো একাধিক আইনজীবী থাকতেই পারেন। আর এক্ষেত্রে ওনার একার জায়গায় আরেকজন আইনজীবী হলে শক্তিটা বাড়বে বলেই আমি মনে করি।’

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন ঢাকার কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের এক শ্রম পরিদর্শক। এই মামলায় গত ৬ জুন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের বিচারক। এই মামলায় ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আবদুল্লাহ-আল-মামুন। আর কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

বিজ্ঞাপন

আইনজীবীড. ইউনূস