আত্মসাৎ করা টাকা-স্বর্ণালংকার ফিরে পেল প্রবাসীর পরিবার

প্রবাসীর পাঠানো আত্মসাৎকৃত নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে মেয়ের বাবা-মায়ের কাছে বুঝিয়ে দিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।

আজ ২ এপ্র্রিল রোববার ডিএমপি সদর দপ্তরে আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে চুরি যাওয়া এ মালামাল বুঝিয়ে দেন ডিএমপি কমিশনার। চুরি যাওয়া মালামাল মেয়ের অভিভাবকরা বুঝে পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশকে ধন্যবাদ জানান।

জানা যায়, চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি বিমানবন্দর থানায় আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন মেয়ের বাবা। পরে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের দল বিষয়টি নিয়ে কাজ করতে থাকে।

ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান বলেন: এশিয়ান ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে ঠিক করেন বাবা-মা। তাদের গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরে। ভালো পাত্র পেয়ে বিয়ের ব্যবস্থা করেন তার অভিভাবক। দুবাই প্রবাসী বড় ভাই  বোনের জন্য কিনেন স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন। আর হবু জামাইয়ের জন্য আইফোন। পরিচিত এক দুবাই প্রবাসীকে দুবাই থেকে ঢাকাগামী বিমানের টিকেট কেটে কাস্টমসের জন্য ১ হাজার ৪৫০ দিরহাম দিয়ে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন বোনের কাছে পৌঁছে দিতে তার কাছে বুঝিয়ে দেন।

নির্দিষ্ট দিনে বিমানবন্দরে মালামাল গ্রহণের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন কনের বাবা। কিন্তু প্রতারক প্রবাসী ফাঁকি দিয়ে চলে যায় বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে। সব বিক্রি করে দিয়ে নিজের জন্য তৈরি করে একতলা দালান, কিনে নেয় দামি মোটরবাইক। এদিকে বিয়ে ভাঙে মেয়েটির। আর স্বপ্ন ভাঙে পরিবারটির। ভেঙ্গে যাওয়া স্বপ্ন জোড়া লাগাতে কাজ শুরু করে পুলিশ। ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একটি টিম উদ্ধার করে স্বর্ণালংকার বিক্রির নগদ টাকা, দুইটি মোবাইল ফোন এবং ৫ ভরি স্বর্ণালংকার।

উদ্ধার করা টাকা, স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোন বুঝিয়ে দেওয়ার সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন অ্যান্ড ডিবি সাউথ) সঞ্জিত কুমার রায়,  গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান।

ডিএমপি কমিশনারপ্রবাসী