ছয় দফা দাবিতে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচী

ছয় দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচী শুরু করেছে দেশের প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ। মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে হাজির হয়ে সারাদেশের শিক্ষকরা অবস্থান নেন।

‘বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচীতে হাজির হয়েছেন ১৫০০ বিদ্যালয়ের কয়েক হাজার শিক্ষক ও কর্মচারীরা।

সংগঠনটির সভাপতি ইলিয়াস রাজ বলেন, ‘প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের জাতীয় করণ করতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০২০ সালের জানুয়ারিতে চাহিদা অনুযায়ী তথ্যসহ অনলাইনে আবেদন করা হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনো অগ্রগতি হয়নি। তাই সরকারের কাছে মানবিক আবেদন জানাতেই আমাদের ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই অবস্থান কর্মসূচী। আমাদের চাওয়া মানবেতর জীবন যাপনকারী শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ তাদের নিজেদের অর্থনৈতিক মুক্তি ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষাদানের মাধ্যমে সমাজের অবদান রাখার ব্যবস্থা করা। একই সঙ্গে সরকার ঘোাষিত শতভাগ শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের লক্ষে সরকারকের হাতকে শক্তিশালী করতেই আমাদের এই কর্মসূচী।’

ছয় দফা দাবি সম্পর্কে তিনি জানান, ১. দ্রুততার সাথে প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমূহের স্বীকৃতি ও এমপিও প্রদান নিশ্চিত করা। ২. বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিয়োগের তারিখ হতে চাকরি নিয়মিত করা এবং বেতন ভাতা নিশ্চিত করা। ৩. শতভাগ আধুনিক মানসম্পন্ন প্রতিবন্ধীবান্ধব অবকাঠামো নির্মাণ সুনিশ্চিত করা। ৪. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিশেষ শিক্ষা কারিকুলাম বাস্তবায়ন, একটি আধুনিক থেরাপি সেন্টার নিশ্চিত করা ও সকল শিক্ষার্থীদের মিড ডে মিলসহ শিক্ষা উপকরণ প্রদানের ব্যবস্থা করা। ৫. প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি ও কমপেক্ষ পাঁচ হাজার টাকা প্রতিবন্ধী ভাতা প্রদানের উদ্যোগ বাস্থবায়ন। ৬. শিক্ষা জীবন শেষে প্রত্যেকের আত্ননির্ভরশীল জীবন যাপনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করণ।

বাংলাদেশ প্রতিবন্ধী বিদ্যালয় সমন্বয় পরিষদ’ এর সাধারণ সম্পাদক এ.এইচ.এম সালেহ বেলাল বলেন, ‘দেশের বেসরকারিভাবে প্রতিষ্ঠিত ১৫০০ বিদ্যালয়ে পাঁচ লাখের বেশি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী রয়েছে। যাদের শিক্ষাদান করতে গিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ। আমরা তাই সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’