করানোকালে বন্ধ হয়ে গেছে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের দুটি স্বনামধন্য সিনেমা হল আলমাস ও দিনার। মহামারী চলে গেলেও এই হলগুলো আর খোলেনি।
শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, প্রায় তিন বছর ধরে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে দুটি হল। প্রবেশদ্বারে জমে গেছে ধুলো ময়লা, বিস্তার করেছে মাকড়সার জাল। হল চত্বরে রাখা আছে ভ্যান, রিক্সা।
হলটির প্রবেশপথের চা বিক্রেতা মো. সোহাইল বলেন, সর্বশেষ আয়নাবাজি ও পাসওয়ার্ড রিলিজে দর্শকের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছিল। কোভিডের আগে সর্বশেষ আলমাসে চলেছিল ‘বীর’।
আক্ষেপ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এক সময় শত শত দর্শকের পদচারণায় মুখর থাকলেও এখন সুনসান নীরবতা। হলটি খুলবে কিনা জানা নেই! তিনি জানান, হল বন্ধ থাকার প্রভাব আশপাশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উপরও কিছুটা পড়েছে।
সিনেমা হল মার্কেটের দোলন চৌধুরী নামে এক দোকানদার বললেন, ২০০০ সালের দিকে জমজমাট ব্যবসা করেছে। কিন্তু সে ব্যবসা নেই। করোনার পর চালু হয়নি। এটা আর চালু হবে না শুনেছি।
প্রায় ত্রিশ মিনিট সিনেমা হল দুটির চারপাশ ঘুরলেও হল মালিক সংশ্লিষ্টদের পাওয়া যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শদের কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের নিয়ন্ত্রণে আছে ঐতিহ্যবাহী ‘আলমাস’। খোঁজ নিয়েও কারও সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তবে চট্টগ্রাম সিনেমা হল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, কোভিডের আগে থেকেই ধুঁকে ধুঁকে চলছিল আলমাস। আরও এক বছর আগে হলের ভিতরে সবকিছু ভেঙে ফেলা হয়েছে। সেখানে নতুন করে মার্কেট হবে। যতদূর শুনেছি নতুন মার্কেটে মাল্টিপ্লেক্স হিসেবে আবার আলমাস চালু হবে। তবে সেটি সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।
নাহিয়ান ইমন, চট্টগ্রাম থেকে: