‘এমন অর্জনে অবশ্যই খুশি। আমরা জানতাম এটা কঠিন শুরু হতে যাচ্ছে। নাজুকভাবে শুরু হলেও আমরা আত্মবিশ্বাস খুঁজে পেয়েছিলাম। ভুটান ভালো খেলেছে। জানি তারা শক্তিশালী দল। আমরা আবারো ঘুরে দাঁড়িয়েছি। অনেক সময় নানা সমালোচনার মুখোমুখি আমরা হয়েছি। বাংলাদেশের মানুষ জয় উপভোগ করেছে। এটার দরকার ছিল। সেমিফাইনাল কঠিন হবে। আমরা কুয়েতের সঙ্গে লড়াই করব।’
ভুটানকে হারিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১৪ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ওঠার পর সংবাদ সম্মেলনে কথাগুলো বলেছেন বাংলাদেশ দলের হেড কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা।
দল গঠনে ক্যাবরেরার মন্ত্র ছিল স্কাউটিং। সহকারী কোচ হাসান আল মামুনকে নিয়ে প্রতিভাবান ফুটবলার বের করায় দিয়েছিলেন মনোযোগ।
‘আমরা অনেক কাজ করেছি। খেলোয়াড়দের কমিটমেন্ট আছে, তারা নিজেরা জানে কী করছে। টেকনিক্যাল স্টাফরা কাজ করেছে। ফেডারেশন কাপ, ইন্ডিপেন্ডেন্ট কাপের প্রতিটি ম্যাচ দেখেছি। কোন খেলোয়াড় উপযুক্ত তা যাচাই করা হয়েছে। এমন অর্জন কোনো ভাগ্যে পাওয়া নয়। প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে সব চলছে। অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। আমাদের সবার কাছ থেকে সমর্থন লাগবে।’
‘কেউ যদি বলে বাংলাদেশ ভাগ্যের জোরে সেমিফাইনালে, তবে আমি তার তীব্র বিরোধিতা করব। এটা মোটেও অঘটন নয়। যোগ্য দল হিসেবেই সাফের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ। এর পেছনে আছে অনেক শ্রম। সবাই মিলে কাজ করেছে বলেই সফলতা এসেছে।’
সেমিফাইনাল খেলার লক্ষ্য নিয়ে এবারের সাফে খেলতে গিয়েছে লাল-সবুজের দল। প্রথম ম্যাচে লেবাননের কাছে হারের পরও হয়েছে লক্ষ্যপূরণ। বিষয়টিকে অর্জন বলেই মনে করছেন জামাল ভুঁইয়াদের স্প্যানিশ কোচ।
‘লেবানন, কুয়েত ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলা নিশ্চিত করেছে। অবশ্যই এটা বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশ ওদের সমপর্যায়ের না হয়েও শেষ চারে খেলবে। আমরা যে উন্নতি করছি, তা স্পষ্ট। তবে এটা ধরে রাখতে হবে।’
বিজ্ঞাপন