ঘরের মাঠে পথহারা মাশরাফীর সিলেট

বিপিএলের ঢাকা পর্বে টানা পাঁচ জয়। চট্টগ্রামে গিয়ে কুমিল্লার কাছে ধাক্কা। মিরপুরে ফিরে সাকিবের বরিশালকে হারিয়ে জয়ে ফেরা। ৬ জয়ে টেবিলের শীর্ষেই সিলেট স্ট্রাইকার্স। ঘরের মাঠে যেয়ে রংপুর রাইডার্সের কাছে মাশরাফীর সেই দলটাই হল বিধ্বস্ত।

শুক্রবার সিলেটে টস জিতে স্বাগতিকদের ব্যাট করতে পাঠায় রংপুর। বোলারদের দাপটে ১৮ রানেই ৭ উইকেট হারায় সিলেট। তানজীম হাসান ও মাশরাফীর ব্যাটে ৯ উইকেটে শেষঅবধি ৯২ পর্যন্ত যেতে পারে। রংপুর সহজ জয়ই তুলেছে। ৬ উইকেট ও ২৬ বল হাতে রেখে। মাশরাফীদের হারিয়ে সাত ম্যাচে চার জয়ে টেবিলের চারে এখন রংপুর।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেমে দলীয় ৪ রানে টম মোরেসের উইকেট হারায় স্ট্রাইকার্স। ১২ রানে ফেরেন ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। পরে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন আরও তিন ব্যাটার- জাকির হাসান, তৌহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম।

দলীয় ১৭ ও ১৮ রানে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় মাশরাফীর দল। ১০ বলে ৩ রান করেন থিসারা পেরেরা ও ১১ বলে ১ রান করেন ইমাদ ওয়াসিম আউট হন।

অষ্টম উইকেটে হাল ধরেন তানজীম হাসান ও অধিনায়ক মাশরাফী। ৪৮ রানের জুটি গড়েন। ৬৬ রানে ২১ বলে ২১ রান করে হাসান মাহমুদের শিকার হন মাশরাফী।

পরে নবম উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ আমিরকে নিয়ে আরও ১৯ রান যোগ করে ৮৫ রানে ফেরেন তানজীম। ৩৬ বলে ৪১ রানের ইনিংস তার।

শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান তোলে সিলেট স্ট্রাইকার্স। রংপুর রাইডার্সের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও হাসান মাহমুদ। শেখ মেহেদী হাসান নেন ২ উইকেট।

ছোট লক্ষ্য পার করতে শুরুটা ভালোই হয় রংপুরের। ষষ্ঠ ওভারের তৃতীয় বলে রেজাউর রহমানের শিকার হন নাঈম শেখ। পরে ১২ বলে ৮ রান করে আউট হন শেখ মেহেদী। ৪৪ রানে শোয়েব মালিককেও হারায় রংপুর। মালিক রানের খাতা না খুলেই মাশরাফীর শিকার হন।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে আরও ২২ রান যোগ করেন রনি তালুকদার ও আজমাতুল্লাহ ওমরজাই। ৯ বলে চার রান করে ফেরেন ওমরজাই। মোহাম্মদ নেওয়াজকে সঙ্গী করে দলকে জয়ের নোঙরে নেন রনি তালুকদার। অপরাজিত থাকেন ৩৮ বলে ৪১ রানে। নেওয়াজ করেন ১৩ বলে ১৮ রান।

সিলেটের হয়ে মাশরাফী নেন ২ উইকেট।

বিপিএল-২০২৩মাশরাফীরংপুর রাইডার্সলিড স্পোর্টসসিলেট স্ট্রাইকার্সহাসান