৮৯ রানে পাঁচ উইকেট হারানো ফরচুন বরিশালকে আবারও টেনে তুললনে ইফতিখার আহমেদ। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে ৮৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাড়ায় ৫ উইকেটে ১৭৩ রান।
গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান এদিনও অপরাজিত রইলেন, খেললেন ৩৪ বলে ৫৬ রানের মূল্যবান ইনিংস। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেন ৩১ বলে ৩৪ রান।
শুক্রবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঢাকা ডমিনেটর্স অধিনায়ক নাসির হোসেন টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। তাসকিনকে প্রথম ওভারে দুটি চার মেরে ইনিংস শুরু করা ওপেনার সাইফ হাসানকে দ্বিতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরান সালমান ইরশাদ। তার ব্যাটে আসে ১০ রান।
মুশফিকুর রহিমের পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে বিপিএলে ১০০ ম্যাচ খেলার কীর্তি গড়া আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে ৬ রানে তৃতীয় ওভারে সাজঘরে ফেরান স্পিনার আরাফাত সানি।
পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে অধিনায়ক নাসিরের শিকার হন ১০ রান করা লঙ্কান ব্যাটার চতুরাঙ্গা ডি সিলভা। ৪৫ রানে তিন উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে সাকিবের বরিশাল।
সপ্তম ওভারে মুহাম্মদ ইমরানের উপর চড়াও হন পাঁচে নামা অধিনায়ক সাকিব। দুটি ৪ ও এক ছক্কায় ওই ওভারে আসে ১৪ রান। পরের ওভারেই কাটা পড়েন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ১৪ বলে তিনি ১৭ রান করতে সক্ষম হন।
মিরাজের বিদায়ে ক্রিজে আসেন গত ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ইফতিখার আহমেদ। মুক্তারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ১৭ বলে ৩০ রান করেন সাকিব। আর কোনো উইকেট নিতে পারেনি ঢাকার বোলাররা।
ঢাকা ডমিনেটর্সের পক্ষে অধিনায়ক নাসির ১৬ রান খরচায় ২ উইকেট নেন। আরাফাত সানি, মুক্তার আলী ও সালমান ইরশাদ নেন ১টি করে উইকেট।