‘ভাবি নাই বেস্ট প্লেয়ার হবো’

দুই প্রীতি ম্যাচের প্রথমটিতে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ৬-০ গোলে জয়, দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র। ১-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিয়েছে বাংলাদেশ। সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা গোলের দেখা না পেলেও আক্রমণের ক্ষিপ্রতায় সতীর্থদের জোগান দেন একের পর এক পাস, তাতে গড়া সম্ভব হয় একের পর এক আক্রমণ।

বয়সভিত্তিক দলের পর জাতীয় দলেও অপরিহার্য এখন মারিয়া। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। তার হাতে উঠেছে মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারের ট্রফি। অথচ মারিয়া ম্যাচ শেষে বললেন এমনটা ভাবেনইনি।

‘খুব ভালো লাগছে যে বেস্ট প্লেয়ার হয়েছি। ভাবি নাই বেস্ট প্লেয়ার হবো। নার্ভাসনেস কাজ করে নাই। চেষ্টা ছিল ভালো খেলার।’

‘সবসময় কোচরা বলে টিম ওয়ার্ক করতে হবে। সেভাবেই আমাদেরকে শেখানো হয়। আমরা যতটুকু অনুশীলন করি, আমরা যদি মন থেকে চাই আরও ভালো হোক তাহলে সেটাই হয়।’

ফিফা উইন্ডোতে নিয়মিত ম্যাচ চেয়ে কলসিন্দুর থেকে উঠে আসা মিডফিল্ডার বললেন, ‘বয়সভিত্তিক দলে আমরা যেভাবে ভালো খেলি, সিনিয়র দলে সেভাবে ভালো খেলতে পারি না। অনেকদিন পর আমরা (আন্তর্জাতিক) ম্যাচ খেললাম। আমাদেরকে যদি নিয়মিত ম্যাচ দেয়া হয়, দিন দিন আমরা ভালো ফলাফল করবো এবং এগিয়ে যেতে পারবো।’

মালয়েশিয়ার খেলোয়াড়রা অতি-রক্ষণাত্মক খেলার পাশাপাশি মাঝে মধ্যেই মাঠে পড়ে গিয়ে চোট পাওয়ার ভঙ্গি করে অতিমাত্রায় সময় নষ্ট করেছেন। এতে খেলার ছন্দ বাধা পায়। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভই ঝেড়েছেন মারিয়া মান্ডা।

‘প্রথম ম্যাচে আমরা ভালো ব্যবধানে জিতেছি। আজও আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওদের বেশিরভাগ খেলোয়াড় অতিমাত্রায় রক্ষণাত্মকভাবে খেলেছে। স্বাভাবিক খেলাটা খেলে নাই। সময় নষ্ট করেছে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে অভিনয় করে পড়ে গিয়ে সময়টা নষ্ট করেছে।’

আগের ম্যাচে অতিথি দলের বিপক্ষে ৬-০তে জয়ের পর দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র, সহ-অধিনায়ক সেটি নিয়ে বললেন, ‘আমরা অনেকগুলো সুযোগ পেয়েছি গোল করার, কাজে লাগেনি।’

বাফুফেবাংলাদেশবাংলাদেশ-মালয়েশিয়া ম্যাচমারিয়ামালয়েশিয়ালিড স্পোর্টস