আমিরাতকে হারাতেই ঘাম ঝরল বাংলাদেশের

বাংলাদেশকে সহজে জিততে দেয়নি সংযুক্ত আরব আমিরাত। দারুণ লড়াই করে স্বাগতিকরা হেরেছে মাত্র ৭ রানে। শরিফুল ইসলামের করা শেষ ওভারে ২ উইকেট হাতে রেখে আমিরাতের দরকার ছিল ১১ রান। বাঁহাতি পেসারের জোড়া শিকার বাংলাদেশকে এনে দেয় জয়। ২ বল আগে স্বাগতিকরা গুটিয়ে যায় ১৫১ রানে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে নুরুল হাসান সোহানের দল।

শেষের দিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন সহজ ক্যাচ ছাড়েন। তাতে জমে ওঠে ম্যাচ। লোয়ার মিডলঅর্ডার ব্যাটার আয়ান আফজাল ১৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে জয়ের দিকে নিয়ে যান দলকে। তবে সফল হতে পারেননি।

বিশ্বকাপের আগে আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের লক্ষ্য হলেও সহজ প্রতিপক্ষের কাছে উল্টো হারতে বসেছিল টাইগাররা। ২০ ওভারের লড়াইয়ে আমিরাতই বেশিরভাগ সময় এগিয়ে ছিল। ওপেনার চিরাগ সুরি ২৪ বলে ৩৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশকে পেছনে ফেলেন।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে আফিফ হোসেন এনে দিয়েছিলেন লড়াকু পুঁজি। পরে মেহেদী হাসান মিরাজের দারুণ বোলিংয়ে  আরব আমিরাতকে  হারিয়েছে বাংলাদেশ। জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ শুরু করল নুরুল হাসান সোহানের দল।

স্বাগতিকদের ৭ রানে হারিয়ে সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। সফরকারী দল টাইগারদের খুব একটা স্বস্তিতে থাকতে দেয়নি। হেরেছে লড়াই করে। মিরাজ ও শরিফুল নেন তিনটি করে উইকেট। মোস্তাফিজুর রহমান দুটি উইকেট নিলেও প্রত্যাশিত বোলিং করতে পারেননি। ৪ ওভারে দিয়েছেন ৩১ রান।

এর আগে উইকেট পতনের মিছিলে নাম লেখাতে চলেছিলেন আফিফ হোসেন। ব্যক্তিগত ৬ রানে সীমানায় ক্যাচ দিয়ে ফিল্ডারের ব্যর্থতায় বেঁচে যান বাঁহাতি ব্যাটার। জীবন পেয়ে ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তোলেন বাংলাদেশকে। শেষ পর্যন্ত লড়ে এনে দেন দেড়শ পেরোনো সংগ্রহ।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তোলে ৫ উইকেটে ১৫৮ রান। ৫৫ বলে ৭৭ রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন আফিফ। অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান ২৫ বলে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ছক্কায় শেষ করেন ইনিংস।

৭৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসা দলকে পথ দেখান আফিফ ও সোহান। অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটিতে স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।

সাব্বির রহমান ও মিরাজই ইনিংসের সূচনা করেছেন। তারা টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। চোট কাটিয়ে ফেরা লিটন দাস দিয়েছিলেন দারুণ কিছুর ইঙ্গিত। তিন চারে ৮ বল খেলে ১৩ রান করে ফেরেন সাজঘরে।

পাওয়ার প্লে’তে তিন উইকেট হারিয়ে বসা দল আরও বিপদে পড়তে পারত ডিপ স্কয়ার লেগে আমিরাত ফিল্ডার আফিফের শটে ক্যাচ নিয়ে ফেললে। সেটি হয়নি, বাংলাদেশ দেড়শর পথ পাড়ি দিতে পেরেছে। সাতটি চারের সঙ্গে আফিফ মারেন তিনটি ছক্কা।

আফিফদুবাইপ্রথম টি-টুয়েন্টিমিরাজলিড স্পোর্টস