টেস্টে খারাপ সময় যাচ্ছে, ভালো সময় আসবে: খালেদ

সেন্ট লুসিয়ায় সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে বের হতে পারেনি বাংলাদেশ। তৃতীয় দিন শেষে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা খানিকটা চোখ রাঙাচ্ছে। বোলাররা নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করলেও ব্যাটাররা নিজেদের বাজে ফর্মের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন।

তৃতীয় দিনে বল হাতে আলো ছড়িয়েছেন পেসার খালেদ আহমেদ, প্রথমবার টেস্টে নিয়েছেন ৫ উইকেট। ত্রাস হয়ে ওঠা কাইল মায়ার্সের উইকেট তুলে নেন।

নিজের ব্যক্তিগত অর্জনে খুশি থাকলেও দলের খারাপ পারফরম্যান্সে তা যে মূল্যহীন, খালেদের কন্ঠে সেটিই উঠে এলো। দিনের খেলা শেষে তিনি দিলেন সরল স্বীকারোক্তি।

‘সব খেলোয়াড়ের ইচ্ছা থাকে মাইলফলকটা যাতে প্রভাব রাখে, দলের লাভ হয়। টেস্ট ক্রিকেটে আমরা ভালো সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি না । তবে সামনে আমাদের অনেক সময় আসবে। দেখবেন, সামনে অনেক কিছুই ভালোভাবে যাচ্ছে।’

সব ডিপার্টমেন্টেই আমাদের ভালো করার জায়গা আছে। ব্যাটিং বলেন, বোলিং বলেন, ফিল্ডিং বলেন। ম্যানেজমেন্ট আমাদেরকে নিয়ে কষ্ট করছে। সবাই আমাদের জন্য কাজ করছে। ইনশাআল্লাহ সামনে ভালো সময় আসবে।’

বারবার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করা ক্রিকেটারদের নিয়ে সমালোচনার কমতি নেই। তরুণরা তো বটেই, সিনিয়র ক্রিকেটারদের দৃষ্টিকটুভাবে আউট হওয়া এবং দলকে বারবার বিপদে ফেলায় প্রায় ২২ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেট খেলা দলের পরিপক্কতা নিয়ে বারবারই ওঠে প্রশ্ন। এখনো যেন তারা লাল বলের ক্রিকেটের পাঠশালায় ভর্তি হওয়া নতুন ছাত্র! খালেদের কথায় অন্তত তাই মনে হয়েছে।

‘চেষ্টা করছি সবাই । সবাই জান প্রাণ দিয়ে চেষ্টা করছে যে কীভাবে নিজেকে আরও ভালোভাবে মেলে ধরা যায়। এটাই সবাই চেষ্টা করছে।’

নিজের বোলিং পারফরম্যান্স নিয়ে খালেদের ভাষ্য, ‘প্রত্যেকটা উইকেট আমার জন্য বিশেষ ছিল। যেহেতু প্রথমবার ৫ উইকেট পেয়েছি। বিশেষ করে মায়ার্সের উইকেটটা ছিল অনেক কষ্ট করার ফল। গতকাল থেকেই ওকে আউট করার চেষ্টা করছিলাম। আজকে ওকে আমি স্লোয়ার বলে পরাস্ত করতে পেরেছি। এটা নিজের কাছে ভালো লাগছে, পরিকল্পনা করে তাকে আউট করতে পেরেছি।’

‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫ উইকেট পেয়ে ভালো লাগছে। অনেকদিন ধরেই চেষ্টা ছিল, কীভাবে ৫ উইকেট নেয়া যায়। আগেও একটা সুযোগ এসেছিল। ওইটা মিস করে ফেলেছি। এটা আমি বজায় রাখার চেষ্টা করবো।’

খালেদলিড স্পোর্টস