আফিফের লড়াইয়ে ২৫৬ পর্যন্ত যেতে পারল বাংলাদেশ

ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হলে ২৫০ পার হওয়া নিয়েই জেগেছিল শঙ্কা। আফিফ হোসেন ধ্রুবর লড়াইয়ে সেটা পেরোনো গেছে। তবে বেশিদূর যাওয়া যায়নি। আফিফের ৮১ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৮৫ রানের অপরাজিত ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে ২৫৭ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।

বুধবার হারারেতে তিন ওয়ানডের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ ঠেকানোর মিশনে ৯ উইকেটে ২৫৬ রান তুলেছে তামিম ইকবালের দল। প্রথম দুই ম্যাচে হেরে টাইগারদের সিরিজ হাতছাড়া হয়েছে আগেই।

সকালে তামিম ও বিজয় উদ্বোধনী জুটিতে তুলে ফেলেছিলেন ৪১ রান। সেখান থেকে আর ৬ রান যোগ হতেই সাজঘরে ফিরে যান টপঅর্ডারের তিন ব্যাটার। নিজেদের ৪০০তম ওয়ানডেতে নেমে ভালো শুরুর পর নড়বড়ে অবস্থানে পড়ে যায় সফরকারীরা। সেখান থেকে আর দাপটে ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি।

এনগারাভার করা নবম ওভারের তৃতীয় বলে অফসাইডে বল ঠেলে রান নিতে গিয়েছিলেন বিজয়। অপর প্রান্তের তামিমও অনেকটা পথ দৌড়ে ফেলেন। বল তখন মাধেভেরের হাতে। মাঝপথে থেমে বিজয় আর দৌড়াননি। তামিম ফেরার চেষ্টায় ততক্ষণে অনেক দেরি করে ফেলেছেন। রান আউট হন তামিম। ৩০ বলে ৩ চারে করে যান ১৯ রান।

পরের ওভারে ব্র্যাড ইভান্সের অফ স্টাম্পের বাইরে করা শর্ট বল কাট করেন শান্ত। পয়েন্টে থাকা মাধভেরের হাতে বল জমা পড়ে। শূন্য রানে শান্ত ক্রিজ ছাড়েন। দুই বল পর উইকেট বিলিয়ে আসেন রানের খাতা খুলতে না পারা মুশফিক। ইভান্সের শর্ট বলে করেছিলেন আপার কাট, দৌড়ে দারুণ ক্যাচ নেন এনগারাভা।

চতুর্থ উইকেটে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ৭৭ রানের জুটি গড়ে ধাক্কা সামলান বিজয়। দারুণ ব্যাটিং করে দিয়েছিলেন সেঞ্চুরির আভাস। ৭১ বলে ৬ চার ও ৪ ছক্কায় ৭৬ রানের ইনিংস খেলে বিজয় শেষে জঙ্গের বলে মাদান্ডের গ্লাভসে ধরা পড়েন।

অতি-ধীরগতির ব্যাটিং করে ৬৯ বলে ৩ চারে ৩৯ রান করে ফিরেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তিনি এনগারাভার বল কাট করতে গিয়েছিলেন। বল ব্যাটের নিচের কানায় লেগে স্টাম্পে আঘাত হানে।

হাত খুলে খেলতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজও। ২৪ বলে ২ চারে ১৪ রান করে সিকান্দার রাজার বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন। তাইজুল ৫ রান করে রানআউট হওয়ার সময় স্কোর ছিল ৭ উইকেটে ২২০ রান।

একপ্রান্তে একাই লড়াই চালিয়ে যান আফিফ। তাকে রেখে রানের খাতা না খুলে মাঠ ছাড়েন হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমান। বুক চিতিয়ে লড়াই করা আফিফ অপরাজিত থেকে দলকে আড়াইশ রানের গণ্ডি পেরিয়ে নেন।

জিম্বাবুয়ের পক্ষে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন ব্র্যাড ইভান্স ও লুক জঙ্গে। একটি করে উইকেট এনগারাভা ও রাজার দখলে গেছে।

তামিমবিজয়মাহমুদউল্লাহলিড স্পোর্টস