সিশেলসের সাথে এবার পারল না বাংলাদেশ

প্রীতি ম্যাচের সিরিজে দ্বিতীয়টিতে র‌্যাঙ্কিংয়ে সাত ধাপ পিছিয়ে থাকা সিশেলসের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরে বসেছে বাংলাদেশ। মঙ্গলবার বিকেলে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ৬০ মিনিটে অতিথিদের জয়সূচক গোলটি আসে ম্যানসিয়েন্টের পেনাল্টি থেকে। শনিবার প্রথম ম্যাচে জিতেছিল স্বাগতিক দল।

প্রথম ম্যাচের গোছানো বাংলাদেশকে এদিন দেখা যায়নি, শেষদিকে বেশ আক্রমণাত্মক খেলেছে লাল-সবুজের দল। দারুণ কয়েকটি সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেননি স্বাগতিক ফরোয়ার্ডরা। ম্যাচ হেরে ১-১ সমতায় শেষ হল দুই লড়াইয়ের সিরিজ। প্রথম ম্যাচে ১-০ গোলের জয় তুলেছিল বাংলাদেশ।

খেলা শুরুর দ্বিতীয় মিনিটেই বক্সে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি সিশেলস। পরের মিনিটে আবারও সুযোগ পায় আফ্রিকার দেশটি, গোলরক্ষক আনিসুল রহমান জিকো বল লুফে নেন। চতুর্থ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে রক্ষণাত্মক খেললেও এদিন শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক দেখা যায় সিশেলসকে।

নবম মিনিটে সিশেলসের ভুলে দারুণ সুযোগ তৈরি করেছিলেন সুমন রেজা, অফসাইডের ফাঁদে যা নষ্ট হয়। ১২ মিনিটে আবারও সুযোগ আসে টাইগারদের সামনে, জনির দুর্বল শট কাজে লাগেনি। ১৫ মিনিটে ম্যাচের প্রথম হলুদ কার্ড দেখেন সিশেলসের ওয়ারেন।

ম্যাচের ১৮ মিনিটে ব্যথা পেয়ে মাঠ থেকে উঠে যেতে হয় রিমন হোসাইনকে। কপাল খোলে আলমগীর মোল্লার, অভিষেক হয় এ লেফট ব্যাকের। ২২ মিনিটে প্রথমার্ধের সবচেয়ে ভালো সুযোগটি আসলেও কাজে লাগাতে পারেননি রাকিব। পরের মিনিটে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া করেন রবিউল।

প্রথম ম্যাচের গোছানো আক্রমণাত্মক বাংলাদেশকে প্রথম থেকে দেখা না গেলেও ২০ মিনিট পর থেকে শুরু হয় স্বাগতিক আক্রমণ। দুই সোহেল রানা, সুমন রেজা, রবিউলরা কাজটি শুরু করেন। তখন থেকে প্রাধান্য বিস্তার করে খেলতে দেখা যায় টাইগারদেরও।

প্রথমার্ধের অতিরিক্ত সময়ে সবচেয়ে ভালো সুযোগটি আনে সিশেলস, নষ্ট করে দেন তারিক কাজী। শেষ মিনিটে বাংলাদেশের সেরা দুটি সুযোগ আসলেও সিশেলস গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় প্রথমার্ধ গোলশূন্য ড্র থাকে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খেলোয়াড় পরিবর্তন করে সফরকারীরা। ৫৫ মিনিটে রাকিবের একক প্রচেষ্টায় সুযোগ আসে, লক্ষ্যের বাইরে মারের রাকিব। ৬০ মিনিটে বক্সের ভেতর ফাউল করেন সাদ উদ্দিন, পেনাল্টি পায় সিশেলস, হলুদ কার্ড দেখেন সাদ। স্পট কিক থেকে ম্যানসিয়েন্ট গোল করলে এগিয়ে যায় সফরকারীরা।

ম্যাচের ৬৬ মিনিটে পাঁচ পরিবর্তনের সবগুলোই সেরে ফেলে বাংলাদেশ। শক্তি বাড়াতে ক্যাবরেরা মাঠে নামান মতিন মিয়া ও এলিটা কিংসলেকে। ৭৬ মিনিটে সুযোগও পেয়েছিলেন এলিটা, সুযোগটি পোস্টের বাইরে মেরে নষ্ট করেন তিনি।

খেলার ৮৭ মিনিটে আবারও সুযোগ নষ্ট করেন জামাল ভূঁইয়া। বক্সের সামনে থেকে গোলবারের উপর দিয়ে মারেন। শেষদিকে মুহুর্মুহু আক্রমণ সাজালেও কাজের কাজটি করতে পারেননি ক্যাবরেরার শিষ্যরা, হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।

বিজ্ঞাপন

জামালতপুফিফাবাংলাদেশলিড স্পোর্টসসিশেলস