ঢাকা ডার্বিতে কাজী সালাউদ্দিনের পেনাল্টি ঠেকিয়ে রীতিমতো তারকা বনে গিয়েছিলেন গোলরক্ষক মহসিন। জীবনের গোলপোস্টে অসহায় দিন পার করছেন ৬০ বছর বয়সী সাবেক ফুটবলার। অসুস্থতার পাশাপাশি মানসিকভাবেও বেশ নাজুক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় ফুটবল দলের একসময়কার তারকা সদস্য। গুরুতর অসুস্থ এ ফুটবলারের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। অথচ তার জন্য কোনো সাহায্যই করতে পারবে না বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)।
মঙ্গলবার গণমাধ্যমে জাতীয় দলের সাবেক সতীর্থকে নিয়ে কথা বলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। বললেন, ‘ব্যক্তিগতভাবে আমি তার জন্য যা করার তাই করব। মানসিক চিকিৎসা থেকে শুরু করে আর্থিক যে সমস্যা আছে, সেটার ব্যাপারে ব্যক্তিগতভাবে আমি সাহায্য দিয়ে দেবো।’
‘আমি বাফুফে থেকে সাহায্য করতে পারবো না। কারণ ফিফা ও এএফসি থেকে যে বরাদ্দকৃত তহবিল আছে, সেখান থেকে কোনোকিছু করতে পারবো না। তবে কোনো অসুবিধা নেই। মহসিন আমার জুনিয়র। সে আমার সাথে অনুশীলন করেছে এবং খেলেছে। আমার সতীর্থ হিসেবেও খেলেছে, প্রতিপক্ষ হিসেবেও খেলেছে। মহসিনের জন্য যা করার আমি একাই তা সামলাতে পারবো। শুনেছি আরও দুই-চারজন তাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানাই।’
আশির দশকের খেলোয়াড় মহসিনকে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার পাশাপাশি তার জমি উদ্ধারে আইনি সহায়তাও দেবে বিসিবি। জায়গা-জমি সংক্রান্ত কিছু জটিলতা রয়েছে। বিসিবি সেগুলো দেখবে বলে নিশ্চিত করেছেন ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী। অথচ ফিফা ও বাফুফের তহবিলের উপর নির্ভরশীল বাফুফে সাবেক ফুটবলারের জন্য কিছুই করতে পারছে না।
বিজ্ঞাপন