রিজার্ভ চুরির মামলায় সাক্ষ্য দিতে ফিলিপিন্সে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলার সাক্ষ্য দিতে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দল গতকাল ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলায় পৌঁছেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের অপরাধ তদন্ত বিভাগের দু’জন এবং আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগের দু’জন কর্মকর্তা সাক্ষ্য দেবেন বলে বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

এছাড়াও প্রতিনিধি দলের সাথে বাংলাদেশ ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হোসেন রয়েছেন ।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে কম্পিউটার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬২৩ ডলার চুরি হয়। নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে সেই টাকা রক্ষিত ছিল। পরে সেখান থেকে টাকা চুরি করে ফিলিপিন্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

এ ঘটনায় সেখানে বেশ কয়েকটি মামলাও দায়ের করা হয়েছে।

আজমালুল হোসেনের বরাতে বিবিসি বাংলা জানায়, এখানে ফিলরেম মানি কর্পোরেশন নামে একটা মুদ্রা বিনিময় প্রতিষ্ঠান ছিল যারা আমাদের চুরির টাকা পেসোতে কনভার্ট করে বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়েছে, ক্যাসিনোতে দিয়েছে। সেই ফিলরেমের দু’জন শেয়ারহোল্ডার, তারা স্বামী-স্ত্রী, আমাদের অনুরোধে তাদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল মামলা করেছে ফিলিপিন্সের অ্যান্টি মানিলন্ডারিং কাউন্সিল।

বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে হ্যাকিং করে যে কোটি কোটি ডলার ফিলিপিন্সে পাঠানো হয়েছিল, সে বিষয়েই বাংলাদেশের প্রতিনিধি দল আদালতে সাক্ষ্যপ্রমাণ তুলে ধরছে।

‘হ্যাকিংয়ের ভিকটিম তো আমরা। টাকাটা হ্যাকিংয়ের পরে এখানে এসেছে, এখানকার খবর ওদের জানা আছে। আমাদের ওখানে হ্যাকিংয়ের পুরো তথ্যটা ওদের কাছে নেই। সেটাই তাদের দেয়া হচ্ছে। এখন প্রসিকিউশনের সাক্ষ্য চলছে।’

তিনি জানান, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ফিলিপিন্সের ব্যাংক আরসিবিসি একটি মামলা করেছিল, সেটা বহু আগেই খারিজ হয়ে গেছে।

চুরি যাওয়া ডলারের মধ্যে শ্রীলঙ্কা থেকে দুই কোটি ডলার ফেরত পেয়েছে বাংলাদেশ। এরপর এফবিআইয়ের সহযোগিতায় ফিলিপাইন থেকে আরও দেড় কোটি ডলার ফেরত পায়।

বিজ্ঞাপন

ফিলিপিন্সবাংলাদেশ ব্যাংকরিজার্ভ চুরিহ্যাকিং