১৮ বছরের ফাইনাল খরা ঘোচানোর মিশন বাংলাদেশের

বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে যেতে আর একটি বাধা দূর করতে হবে বাংলাদেশকে। পারলে দীর্ঘ ১৮ বছর পর ফাইনালের খরা ঘুচবে লাল-সবুজের পতাকাবাহীদের। দেড়যুগ আগে ২০০৫ সালে সবশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলেছিল জামাল-তপুদের পূর্বসূরী দল।

শনিবার বিকেল ৩টা ৩০ মিনিটে বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে সেমিফাইনালে বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে পশ্চিম এশিয়ার দেশ শক্তিশালী কুয়েতের বিপক্ষে। ফিফার সবশেষ প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে কুয়েতের অবস্থান ১৪১, বাংলাদেশের অবস্থান ৫১ ধাপ পিছিয়ে ১৯২তে।

অনেক এগিয়ে থাকা কুয়েতের বিপক্ষে বাংলাদেশ ফুটবলের সুখস্মৃতি নেই। দুদলের দেখা হয়েছে মাত্র দুবার, সেখানে হতাশ হতে হয়েছে লাল-সবুজদের। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে প্রথম দেখায় ২-১ গোলে হারে বাংলাদেশ। ১৯৮৬ সালে সিউল এশিয়ান গেমসে ব্যবধান ছিল আরও বড়, ৪-০। সাফে বদলে যাওয়া ভিন্ন বাংলাদেশের পরিসংখ্যানে এবার নতুন কিছু লেখার সুযোগ।

লেবাননের কাছে হারলেও মালদ্বীপ ও ভুটানের বিপক্ষে দুর্দান্ত দুটি জয়ে সেমির টিকিট কাটে রাকিব-মোরসালিনের দল। গ্রুপপর্বের শেষ দুই ম্যাচে জিতলেও আবার শুরুতেই গোল হজম করে চাপে পড়তে হয়েছিল। দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনে দুই ম্যাচেই ৩-১ গোলের জয়ে মাঠ ছাড়ে জামাল ভূঁইয়ার দল।

বাংলাদেশ দলের হেডকোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা ‘অবশ্যই নিজেদের শক্তির উপর আস্থা রাখতে চান।’ তার সাফ কথা, ‘ব্যাপারটা এমন নয় যে লক্ষ্য পূরণ হয়েছে বলে সেমিফাইনাল উপভোগ করবো বা এমন কোনো চিন্তা নিয়ে মাঠে নামব। নিজেদের সেরাটা দিয়েই বাংলাদেশ ফুটবল দল ফাইনালে খেলার চেষ্টা করবে।’

অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার মতে, ‘কেউ তাদের কাছে কিছু আশা করেনি। তবে নিজেদের উপর আস্থা রাখায় আজকের এ অবস্থানে তারা। পুরো বাংলাদেশের মানুষ তাদের সমর্থন করছে, এটা মোটিভেশন হিসেবে কাজ করছে। ইতিবাচক ফল আনতে বিশ্বাসী তাই।’

গোড়ালির চোটে ভুটানের বিপক্ষে খেলতে পারেননি ডিফেন্ডার তারেক কাজী। তার ফেরার সম্ভাবনা নিয়ে চিন্তিত নন স্প্যানিশ কোচ। তার অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নিতে হবে, বলেছেন ক্যাবরেরা।

বিজ্ঞাপন

কুয়েতক্যাবরেরাজামালবাংলাদেশভারতলিড স্পোর্টস