পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ভারতীয় ক্রিকেটারের বিদ্রূপে ক্ষুব্ধ জ্যোতি 

সমতায় শেষ হয়েছে বাংলাদেশ ও ভারতের মেয়েদের মধ্যকার ওয়ানডে সিরিজ। মিরপুরে শনিবার বিকেলে চরম নাটকীয়তা ও রোমাঞ্চকর লড়াইয়ের পর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি টাই হয়। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে বিদ্রূপের শিকার হয় বাংলাদেশ দল। দ্রুত ফটোসেশন শেষ করে অপমানিত বোধ করে দল নিয়ে ড্রেসিংরুমে চলে আসেন টাইগ্রেস অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।

সিরিজের ট্রফি সামনে রেখে স্বাগতিক ও সফরকারী দলের খেলোয়াড়রা জড়ো হয় ফটোসেশনের জন্য। সেখানে ভারতীয় এক ক্রিকেটার বলেন, আম্পায়ারদেরও নিয়ে আসতে। চলতে থাকে কথার টিপ্পনি। কটাক্ষ চলতে থাকায় ড্রেসিংরুমে ফিরে আসে বাংলাদেশ দল।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই বাংলাদেশ অধিনায়কের কাছে জানতে চাওয়া হয় কিছুক্ষণ আগেই ঘটা ঘটনা সম্পর্কে। হতাশা প্রকাশ করে জ্যোতি বলেন, ‘ও (ভারতীয় ক্রিকেটার) যেটা বলেছে সেটা ওরই, সেটা আমাদের কোনো কিছু না। আমার মনে হয় ক্রিকেটার হিসেবে ও আরেকটু বেটার ম্যানার ওয়েতে কথা বলতে পারতো। যেটা আমার কাছে মনে হয় ও করেছে, ওর ব্যাপার। আমার এটা নিয়ে কথা বলা উচিত হবে না। কিছু কথা সবসময় তো আর সবকিছু বলা যায় না। যা হয়েছে, আমার কাছে মনে হয়নি দল নিয়ে ওখানে থাকবো। আমি চলে এসেছি।’

‘এমন কিছু কথা ছিল যেগুলো শুনে আমার মনে হয়নি ওখানে থাকা উচিত হবে দল নিয়ে। ক্রিকেট খুবই সম্মানের একটা জায়গা, শৃঙ্খলার জায়গা। সবচেয়ে বড় কথা এটা জেন্টেলম্যান গেম। আমার কাছে মনে হয় ওই পরিবেশ ছিল না তাই দল নিয়ে চলে এসেছি।’

জানা গেছে, অভিযোগের তীর ভারতের অধিনায়ক হারপ্রীত কৌরের বিপক্ষেই। উত্তাপ ছড়ানো ম্যাচে ফিল্ড আম্পায়ারিং করেন তানভির আহমেদ ও মুহাম্মদ কামরুজ্জামান। ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর আউট হয়ে মাঠেই আম্পায়ারের সঙ্গে অসৌজন্যতা দেখান। ম্যাচ টাই হওয়ার পরের আউটটি নিয়েও ক্ষুব্ধ দেখা গেছে ভারতীয় ডাগ আউট।

আম্পায়ারিং নিয়ে জ্যোতি বলেন, ‘তারা আউট না হলে তো আম্পায়াররা আউট দিতেন নাকি। ওয়ান অব দ্য বেস্ট আম্পায়ার দেয়া হয়েছে, তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছেলেদের আম্পায়ারিং করে। অবশ্যই চিন্তা-ভাবনা করে ওদের দেয়া হয়েছে। আমরা সম্মান করেছি তাদের সিদ্ধান্ত। আমরা আউট হলে ওরকম করলাম না কেন। খেলোয়াড় হিসেবে আমাদের সিদ্ধান্ত মানা উচিত। আউট হই বা না হই। যেগুলো রানআউট-ক্যাচ হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কী বলবেন তারা।’

ভারতীয় দলের সংবাদ সম্মেলনেও উঠে আছে পুরস্কার বিতরণের সময় ঘটা প্রসঙ্গটি। বিষয়টি এড়িয়ে যান সফরকারী দলের ওপেনার স্মৃতি মান্দানা। আন্তর্জাতিক ম্যাচে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) না থাকায় অসন্তোষের কথা জানান তিনি।

বাংলাদেশ-ভারত মেয়েদের সিরিজটি সম্প্রচারিত হয়টি কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে। বিসিবি নিজেদের ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করে। সিরিজটির পৃষ্ঠপোষক হিসেবেও কাউকে পায়নি বোর্ড। এসব কারণে ডিআরএস প্রযুক্তির ব্যবহারও ছিল না।

বিজ্ঞাপন

আচরণটাই ম্যাচতৃতীয় ওয়ানডেবাংলাদেশ-ভারতভারতীয় ক্রিকেটারমিরপুরলিড স্পোর্টস