ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভয় পাওয়ার কিছু নেই: ওবায়দুল কাদের

মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভয় পাওয়ার কিছু নেই জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার জন্য নালিশ করতে করতে বিএনপি এখন নিজেরাই ফাঁদে পড়েছে।

তিনি আজ বিকেলে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশে এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, কে কার প্রয়োজনে কাকে ভিসা দিবে সেটা সেদেশের ব্যাপার। আমরাও কাকে ভিসা দিবো, কাকে দিবো না সেটা আমাদের ব্যাপার।

যারা সন্ত্রাস করবে, ভাঙচুর করবে, অবাধ নির্বাচনে বাধা দিবে- ভিসানীতি তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কারা বাধা দিচ্ছে? বাধা তো দিচ্ছে বিএনপি। ভিসানীতি আসার পর সব বিএনপি নেতার গলা শুকিয়ে গেছে।

বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আপাতত সংলাপ নিয়ে ভাবছি না। গতবারের কথা মনে আছে? বিএনপির সঙ্গে সংলাপে ফলাফল কী হলো? ওবায়দুল কাদের বলেন, তিন জায়গা থেকে বিএনপি নমিনেশন বিক্রি করে। শেষপর্যন্ত গতবারের মতো ওই নমিনেশন বাণিজ্য করার জন্যই কি এত খেলাধূলা করছেন? বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রাখেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি বন্ধুরা চায় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আর বিএনপি চায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ চায়। মামাবাড়ির আবদার? পার্লামেন্টের বিলুপ্তি চায়। একেক সময় একেকটা বিষয় নিয়ে আসে। আসলে তারা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে কোনভাবে হটানো যায় কিনা। দেশে-বিদেশে পাগলপ্রায় হয়ে লেগে আছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার আসবে না। মৃতকে জীবিত করার চেষ্টা করছেন কেন? মির্জা ফখরুলকে সতর্ক করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, তত্বাবধায়ক সরকারকে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করেনি, নিষিদ্ধ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

সাম্প্রতিক লোডশেডিং সম্পকে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজেরা (বিএনপি) বিদুৎ দিতে পারেনি, দিয়েছে খাম্বা। সংকট সারাবিশ্বে। জ্বালানি সংকট সারাবিশ্বের মতো আমাদেরও আছে। তারপরও বিশ্বকাপ ফুটবল হয়ে গেলে, কোন লোডশেডিং হয়েছে? সেতুমন্ত্রী বলেন, সাময়িক কষ্ট থাকবে না। শেখ হাসিনা উপর আস্থা রাখুন, সংকট অচিরেই কেটে যাবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা জনগণের কাছে সময় চেয়েছি। ১০/১৫ দিন ধৈর্য ধরেন। শেখ হাসিনা যা বলেন তা করেন। তিনি দিন-রাত পরিশ্রম করেন বাংলার মানুষের ভাগ উন্নয়নের জন্য। এই দুর্দিন কেটে যাবে। এই সরকার লুটেরা, হাওয়া ভবনের সরকার নয়। তিনি বলেন, বিএনপি যদি ক্ষমতা ফিরে পায়, তাহলে এই বিষধর সাপ গোটা দেশ গিলে খাবে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এই সরকারেক পরিবর্তন করতে এলে নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ ভোট দিলে আছি, না দিলে নাই।

এসয় বিএনপির পলাতক নেতা তারেক রহমান সম্পকে ওবায়দুল কাদের বলেন, অনলাইনে কারো কথায় অভুত্থান হবে না। জনগণ সাড়া দিবে না। আপনাদের কথায় আপনাদের কর্মীরা আসতে পারে, বাংলাদেশের জনগণ আসবে না।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের সাধারণ সম্পাদক প্রথম হওয়া তরুণ ভোটার ও নারী সমাজকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে নৌকায় ভোট চান। বলেন, নারী সমাজের আজকের যে ক্ষমতায়ন শেখ হাসিনার আগে পঁচাত্তরের পরে কেউ করেনি।

সমাবশে আরো বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মেজবাউল হোসেন সাচ্চু।

আওয়ামী লীগওবায়দুল কাদেরছয় দফা দিবসনির্বাচনবিএনপিভিসাভিসানীতিমার্কিন ভিসানীতি