বৃষ্টি বিঘ্নিত এশিয়া কাপের সুপার ফোরে ‘অঘোষিত’ সেমিফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ব্যাট হাতে শুরুটা ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কিছুটা রান পেলেও ১৩০ রানে হারায় পাঁচ ব্যাটারকে। পরে মোহম্মদ রিজওয়ানের ৮৬ রানের ইনিংস ও ইফতিখার আহমেদের ক্যামিওতে লড়াই করার মত সংগ্রহ পেয়েছে পাকিস্তান।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটে নেমে বৃষ্টির কারণে বেঁধে দেয়া ৪২ ওভারে ৭ উইকেটে ২৫২ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। ফাইনালে যেতে বৃষ্টিআইনে ৪২ ওভারে শ্রীলঙ্কার লাগবে ২৫২ রান।
বৃহস্পতিবার ম্যাচ শুরুর আগেই হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। নির্ধারিত সময়ের সোয়া দু’ঘণ্টা পর গড়ায় ম্যাচ। প্রথম দফায় ওভার কাটা হয় ৫টি করে। পাকিস্তানের ব্যাটের সময় ফের বৃষ্টির হানায় আরও তিন ওভার কাটা হয়। অর্থাৎ, ৪২ ওভার করে ইনিংস নির্ধারণ করা হয়।
বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে তিনটায় খেলা শুরুর কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে তা হয়নি। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে টস হয়। ৫টা ৪৫ মিনিটে গড়ায় লড়াই।
আগে ব্যাটে নেমে লঙ্কান বোলারদের তোপে ভালো করতে পারেনি পাকিস্তানের ওপেনিং জুটি। ৪.২ ওভারে দলীয় ৯ ওভারে ফখর জামান ফেরেন। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ৬৪ রান তোলেন আবদুল্লাহ শফিক ও বাবর আজম। ১৬তম ওভারের শেষ বলে বাবর ফিরে যান। ৩৫ বলে ২৯ রান করেন তিনি।
২১.৪ ওভারে তৃতীয় উইকেট হারায় পাকিস্তান। ফিফটি করা শফিক ফেরেন পাথিরানার শিকার হয়ে। ৬৯ বল ৫২ রান করেন এই ওপনোর। দুই ওভার পরেই ফেরেন মোহাম্মদ হারিস। ৯ বলে ৩ রান করে শিকার হন পাথিরানার। ২৭.৪ ওভারে মাহেশ থিকাসানার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ১২ বলে ১২ রান করেন তিনি।
নাওয়াজ ফেরার পরই বৃষ্টি হানা দেয় মাঠে। এ দফায় খেলা বন্ধ ছিল প্রায় ৩০ মিনিট। বৃষ্টির আগে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ২৭.৪ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩০ রান।
বৃষ্টির পর নেমে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ইফতিখার আহমেদ। ৩৩.৫ ওভারে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৪৮ বলে ফিফটি পুর্ণ করেন রিজওয়ান। ৪০.৩ ওভারে দলীয় ২৩৮ রানে মাথিশা পাথিরানার বলে দাসুন শানাকার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইফতিখার। ৪০ বলে চারটি চার ও দুটি ছক্কায় ৪৭ রান করেন তিনি।
পরের ওভারে দলীয় ২৪৩ রানে প্রমোধ মাধুশানের বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন শাদাব খান। এরপর শাহীন শাহ আফ্রিদীকে নিয়ে ইনিংস শেষ করেন রিজওয়ান। ছয়টি চার ও দুই ছক্কায় ৭৩ বলে ৮৬ রানে অপরাজিত ছিলেন রিজওয়ান। শাহিন অপরাজিত ছিলেন ১ রানে।
লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন মাথিশা পাথিরানা। প্রমোধ মাধুশান নেন দুটি উইকেট। এছাড়া দুনিথ ওয়েল্লাগে ও মাহেশ থিকসানা নেন একটি করে উইকেট।
বিজ্ঞাপন