যুক্তরাষ্ট্রের ১৮৬ ব্যাংক পতনের ঝুঁকিতে

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতনের পর একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, আমেরিকার ১৮৬টি  ব্যাংক একই ধরণের ঝুঁকিতে রয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর প্রধান কারণ হচ্ছে সুদের হার বৃদ্ধি এবং বীমাবিহীন আমানতের হার।

বার্তাসংস্থা এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা যায়।

সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্কের ‘মনিটারি টাইটেনিং অ্যান্ড ইউএস ব্যাংক ফ্র্যাগিলিটি ইন ২০২৩: মার্ক-টু-মার্কেট লস অ্যান্ড আন-ইন্স্যুরড ডিপোজিটর রানস’ নামক পরীক্ষায় দেখা যায়, দেশটির ১৮৬টি ব্যাংকের পতন হতে পারে যদি তাদের বীমাবিহীন আমানতকারীদের অর্ধেকও তাদের অর্থ তুলে নেয়। এতে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন ডলারের আমানত ঝুঁকিতে রয়েছে।

ব্যাংকগুলোর জন্য চিন্তার বিষয় হল যে, তারা তাদের বেশিরভাগ সম্পদ সরকারি বন্ড এবং বন্ধক হিসেবে রেখে দিয়েছে যা সুদের হারের ক্ষেত্রে খুবই সংবেদনশীল। ফেডারেল রিজার্ভ দ্বারা সাম্প্রতিক সুদের হার বৃদ্ধির কারণে সেই সম্পদের মূল্য হ্রাস পেয়েছে।

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক এই ক্রমবর্ধমান সুদের হারের শিকার হয়েছিল কারণ তারা বেশিরভাগ সম্পদ সরকারি বন্ড আকারে জমা করেছিল। এই সরকারি বন্ডগুলো কেনার সময় যতটা মূল্যবান ছিল, বর্তমান সুদের হারের কারণে তার দাম অনেক কমে যায়। গ্রাহকদের আমানত উত্তোলনের চাহিদা মেটাতে, প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার কমে ব্যাংকটি বন্ডগুলো বিক্রি করে যা প্রকাশ্যে এলে গ্রাহকদের মধ্যে ভয়ের জন্ম দেয় এবং তারা তাদের আমানত তুলে ফেলে। সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের মূলধন কম ছিল না। তবে ব্যাংকটিতে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বীমাবিহীন আমানত ছিল।

প্রতিবেদনটি ইঙ্গিত দেয়, ১৮৬টি ব্যাংক একই ধরণের ঝুঁকিতে পরতে পারে যদি তাদের এ ধরণের পরিস্থিতি থেকে বের হওয়ার অন্য কোন উপায় না থাকে। আমাদের পরীক্ষা নির্দেশ করে, এই ব্যাংকগুলো অবশ্যই একই ধরণের ঝুঁকিতে রয়েছে।

এর আগে, পুঁজি সংকটের কারণে বন্ধ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক। পরে ব্যাংকটির দায়িত্ব নেয় ইউএস ফেডারেল ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স করপোরেশন (এফডিআইসি)। ব্যালান্স শিট বা স্থিতিপত্র শক্তিশালী করতে ২২৫ কোটি ডলার সমমূল্যের শেয়ার বিক্রি করার ঘোষণা দেয় ব্যাংকটি। এতে অনিশ্চিতার আশঙ্কায় পরদিনই আমানতকারীরা ৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার তুলে নেন। এর ফলে ব্যাংকের শেয়ারের দাম ৬০ শতাংশ কমে যায়।

 

ব্যাংকসিলিকন ভ্যালি ব্যাংক