রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের উদ্যোগে শুরু হয়েছে ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র ১৪২৯’। বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি প্রাঙ্গণে বাংলা চলচ্চিত্রের সর্ববৃহৎ এই উৎসবটি শুরুর দিন থেকেই সাড়া ফেলেছে।
প্রথম দিন বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উৎসবটি নিয়ে সাধারণ দর্শকের মধ্যে তুমুল কৌতুহল। প্রথম দিনে ছিলো চারটি সিনেমার প্রদর্শনী। এরমধ্যে মুহাম্মদ কাইউমের ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ চলচ্চিত্র নিয়ে ছিলো দর্শকের উচ্ছ্বাস।
এদিনের শো’তে উপস্থিত ছিলেন ‘কুড়া পক্ষীর শূন্যে উড়া’ ছবির নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী ও অন্যান্য কলাকুশলীরাও। ছবি শেষে দর্শকের অনভূতির কথা মনযোগ দিয়ে শোনেন তারা। সেই সঙ্গে কৌতুহলী দর্শকের নানা প্রশ্নের উত্তরও দেন নির্মাতা।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন ছিলো সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি)। এদিন তিনটি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা প্রদর্শনী হয় দিনভর। এরমধ্যে দর্শকের চাপ পড়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার শো’তেই। কারণ এই সন্ধ্যাটি ছিলো বহুল আলোচিত ছবি ‘হাওয়া’র দখলে!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সহ তথ্য ও যোগাযোগ সম্পাদক ফারহান সাকিব আলভী এদিন সন্ধ্যায় মুঠোফোনে জানান, ‘হাওয়া’ সিনেমাটি দেখতে দর্শক আসবে, এটা জানাই ছিলো। কিন্তু এতো দর্শক হবে সেটা কেউ ভাবতেও পারেনি। তিনি জানান, এদিন সকাল থেকেই দর্শক অগ্রিম ‘হাওয়া’র টিকেট সংগ্রহ করেন। যা ছিলো মোটামুটি অপ্রত্যাশিত। ছবিটি দেখতে পুরো মিলনায়তন কানায় কানায় পূর্ণ ছিলো। এমনকি অনেকে আসন ছাড়াই নিচে বসে ছবি দেখেছেন।
সমকালীন ও ধ্রুপদী সিনেমার সমন্বয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের সর্ববৃহৎ এই উৎসবে আগামি ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেশকিছু আলোচিত সিনেমা দেখতে পারবেন দর্শক।
৫ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পাঁচ দিনব্যাপী টিএসসি প্রাঙ্গণে ২১তম আসরটির প্রচার সহযোগী হিসেবে আছে চ্যানেল আই।
বিজ্ঞাপন