যে কারণে গার্ড অব অনার পেলেন আলিম দার

ঘড়ির কাটায় তখন দুপুর ১টা ৩০ মিনিট। অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে বল ঠেলে এক রান নিয়ে আইরিশদের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষ হওয়া মাত্র দুদলের খেলোয়াড়রা সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে যান। আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে শেষ ম্যাচ পরিচালনা করা আলিম দারকে গার্ড অব অনার দেয়ার জন্য এমন আয়োজন।

৫৪ বর্ষী আলিম দার চারটি বিশ্বকাপের ফাইনালসহ ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে রেকর্ড ৪৩৬ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। পাকিস্তানি আম্পায়ারের ক্যারিয়ার অবশ্য এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। ঘরের মাঠে পিসিবি চাইলে তিনি ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন। এলিট প্যানেলের এক ধাপ নিচে আম্পায়ারদের আন্তর্জাতিক প্যানেলে জায়গা পেলে তিনি নিজ দেশের বাইরে গিয়েও আম্পায়ারিং করতে পারবেন।

ফিট থাকতে সবার আগে চিনি বাদ দিন, প্রাকৃতিক ও নিরাপদ জিরোক্যাল-এর মিষ্টি স্বাদ নিন।

২০০৭ ও ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালে আলিম দারের ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা আছে। ২০১০ ও ২০১২ টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালেও মাঠে ছিলেন। ২০০৯-২০১১ সালে টানা তিনবার বর্ষসেরা আম্পায়ারের পুরস্কার ডেভিড শেফার্ড ট্রফি জিতেছিলেন। আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারে ১৪৫টি টেস্ট, ২২২টি ওয়ানডে ও ৬৯টি টি-টুয়েন্টি পরিচালনা করেছেন।

২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে আলিম দারের একাধিক বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচের আম্পায়ারিং নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড ঘটে যায় ক্রিকেট বিশ্বে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের একটি বাজে অধ্যায় হয়ে আছে আলিম দার ও ইয়ান গৌল্ডের সেই ম্যাচের বিতর্কিত সিদ্ধান্তগুলো।

আইসিসিআলিম দারএলিট প্যানেলমিরপুরলিড স্পোর্টস