অ্যাডিলেড থেকে: ভারতের ফেক ফিল্ডিং, বৃষ্টি ভেজা মাঠে বাংলাদেশকে খেলতে বাধ্য করার ঘটনার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে তৃতীয় আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্ত! যার মাশুল দিতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সেমিফাইনালের আশা জাগানো টাইগাররা অ্যাডিলেডে আরও একবার বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার।
সাকিব আল হাসান আউট না হয়েও তাকে ফিরতে হয়েছে ড্রেসিংরুমে। পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে আবেদন হওয়ার পর আম্পায়ার আড্রিয়ান হোল্ডস্টক আঙুল তুলে দেন। এলবিডব্লিউ! সঙ্গে সঙ্গেই রিভিউ নেন সাকিব।
রিপ্লেতে আল্ট্রা এজ-এ ধরা পড়ে বল লেগেছে ব্যাটে। সাকিব আবার ক্রিজে গিয়ে প্রায় স্টান্স নিয়ে ফেলেন। পাকিস্তানি ফিল্ডাররাও যার যার পজিশনে যেতে শুরু করেন। কিন্তু সবাইকে অবাক করে তৃতীয় আম্পায়ারও বহাল রাখেন আউটের সিদ্ধান্ত!
ক্রিজে সাকিবের পার্টনার নাজমুল হোসেন শান্তও জানতেন আউট হননি। ফিফটি করা ব্যাটারের দাবি সাকিবের ভুল সিদ্ধান্তে আউটের ব্যাপারটা খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। ড্রেসিংরুমেও নিজেদের মধ্যে এটি নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয়নি। তবে তরুণ ওপেনারের কথায় মিশে ছিল আক্ষেপের সুর। কথা বলে যে লাভ নেই সেটি জানে বাংলাদেশ।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শান্ত বললেন, ‘আসলে আলোচনা করে কোনো লাভ নেই। আমাদের নিয়ন্ত্রণেও নেই। পুরোটাই আম্পায়ার, ম্যাচ রেফারি, তাদের সিদ্ধান্ত। জিনিসটা হল, আমরা যত কথাই বলি কোনো লাভ নেই। বলব না যে ড্রেসিংরুমে এ বিষয়টা নিয়ে আমরা খুব বেশি চিন্তিত ছিলাম বা কথা বলেছি। কারণ কথা বলে লাভ নেই।’