পাওয়ার প্লেতে ভারতকে চেপে ধরতে পেরেছিল টস জিতে আগে ফিল্ডিং নেয়া বাংলাদেশ। পরে লোকেশ রাহুল, বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে ৬ উইকেটে ১৮৪ রানের বড় স্কোর তুলেছে টিম ইন্ডিয়া। জয়ের জন্য টাইগারদের কঠিন পথই পাড়ি দিতে হবে।
বিরাট কোহলি ৪৪ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষদিকে রবীচন্দ্রন অশ্বিন ৬ বলে ১ চার ও এক ছক্কায় ১৩ রানের মিনি ক্যামিও খেলেন।
বুধবার অ্যাডিলেডে গ্রুপ ২-এর খেলার শুরুতে তাসকিনের করা তৃতীয় ওভারে ক্যাচ দিয়ে জীবন পেয়েছিলেন রোহিত শর্মা। এক রানে তিনি বাউন্ডারির কাছে হাসান মাহমুদের পিচ্ছিল হাতের কল্যাণে ক্রিজে থেকে যাওয়ার সুযোগ পান। পরের ওভারেই অবশ্য প্রায়শ্চিত্ত করেন হাসান। বল হাতে নিয়ে ২ রান করা রোহিতের উইকেট তোলেন। পয়েন্টে ইয়াসির ক্যাচ নিলে উল্লাসে মাতে সাকিবের দল।
পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ভারত ৩৭ রানের বেশি তুলতে পারেনি। পরে তারা হাত খুলে মারা শুরু করে। অষ্টম ওভারে বোলিং আক্রমণে এসে সাকিব দেন ১০ রান। নবম ওভারে শরিফুল ইসলাম ২৪ রান বিলিয়ে যান।
দ্বিতীয় উইকেটে দ্রুতগতিতে রান তুলে ৬৭ যোগ করেন লোকেশ রাহুল ও বিরাট কোহলি। আগ্রাসী রাহুল ফিফটি পাওয়ার পরপরই আউট হন। সাকিবের বলে শর্ট ফাইন লেগে মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে ধরা পড়েন। ৩২ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৫০ রানের ইনিংস খেলে যান।
কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটিংয়ে অবশ্য স্বস্তিতে ছিল না টাইগাররা। তৃতীয় উইকেটে তারা ৩৮ রান তোলেন। সূর্যকুমার ১৬ বলে ৪টি চারে ৩০ রান করে সাকিবের বলে বোল্ড হলে ভাঙে জুটি।
১১ রানে মাঠ ছাড়তে পারতেন সূর্যকুমার। সাকিবের বলে ক্যাচের চেষ্টা করেছিলেন মোস্তাফিজ। দ্রুত দৌড়ে গেলেও শেষ মুহূর্তে বল তার শরীর ও হাতের ফাঁক গলে পড়ে।
রাহুলের পর ৩৭ বলে ফিফটির দেখা পান কোহলি। তারপর ৭ রান করে রানআউট হন দীনেশ কার্তিক। ৭ রান করে অক্ষর প্যাটেল সাকিবের তালুবন্দি হন।
৩ উইকেট পেলেও ৪ ওভারে ৪৭ রান বিলিয়েছেন হাসান মাহমুদ। সাকিব ৩৩ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। উইকেট না পেলেও তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে সেরাছন্দে ছিলেন। মোস্তাফিজ দেন ৩১ রান। সৌম্য সরকারের বদলে একাদশে আসা শরিফুল ইসলাম ৪ ওভারে ৫৭ রান দিয়ে করেছেন সর্বনাশ!