বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে আর্থিক অনিয়মের দায়ে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে ফিফা। পাশাপাশি করা হয়েছে আর্থিক জরিমানাও। বিষয়টি দেশের ফুটবলের জন্য লজ্জাজনক কি না- এমন প্রশ্ন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে সংবাদ সম্মেলনে করা হয়েছিল। তাৎক্ষণিকভাবে ধন্যবাদ বলেই তাড়াহুড়া করে সংবাদ সম্মেলন কক্ষ ত্যাগ করেন।
এর আগে শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘ফিফা পরে কি পদক্ষেপ আমরা নেব তার জন্য দুই-তিন দিন অপেক্ষা করতে হবে। সাপ্তাহিক ছুটির পর সোমবার ফিফা খুলবে। ফিফার সাথে কথা বলে পরেরদিন আমরা নিজেরা সভা করে আপনাদের ব্রিফ করে বিস্তারিত জানাব।
গত ফেব্রুয়ারিতে ব্যায়ের হিসেবে গড়মিল ধরা পড়ায় কারণ দর্শানোর জন্য ফিফার সদর দপ্তরে গিয়েছিলেন আবু নাঈমসহ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের আরও তিন কর্মকর্তা। ফিফার স্বাধীন এথিকস কমিটি পরে আর্থিক অনিয়ম লুকাতে মিথ্যা তথ্য দেয়ার দায়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদককে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পাশাপাশি ১০ হাজার সুইস ফ্র্যাঙ্ক বা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১২ লাখ জরিমানাও করে।
এসব বিষয়ে জানতেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘ওরা যখন জুরিখে গেছে তখনই তো জানি যে একটা কিছু চলছে। তবে আমাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ কিছু জানায়নি।’
এথিকস কমিটির সিদ্ধান্ত বিস্ময়কর কি না, জানতে চাইলে বাফুফে সভাপতি বলেন, ‘হ্যাঁ এবং না। কেন আমি এমন বলছি? কারণ যখন এথিকস কমিটি ব্যাপারটার পেছনে লেগেছে, তারা কিছু একটা বের করবে না তা হতে পারে না।’
কাপড়ের দোকানের কাছ থেকে বল কেনা, ট্রাভেল এজেন্সি যারা ম্যান পাওয়ার সাপ্লাই করে তাদের কাছ থেকে উচ্চ মূল্যে বিমানের টিকিট কেনার মতো অনিয়মের ঘটনাও ফিফার এথিকস কমিটির ৫১ পৃষ্ঠার রিপোর্টে উঠে এসেছে। এমন আর্থিক অনিয়মের জন্য আবু নাঈম সোহাগের বিপক্ষে বাংলাদেশের আইনে ব্যবস্থা নেরা হবে কি না, এমন প্রশ্নও কাজী সালাউদ্দিনকে করা হয়।
বাফুফে সভাপতি ৫১ পৃষ্ঠার রিপোর্ট পুরোটা না পড়ার কথা স্বীকার করলেও বলেন, ফিফা কিন্তু লেখেনি আর্থিক অনিয়ম। ওরা যেটাকে পয়েন্ট করেছে সেটা হল মিস অব এথিকস কোড।
বিজ্ঞাপন