শীতলক্ষ্যায় গোসল করতে নেমে ২ স্কুলছাত্রীর মৃত্যু

নরসিংদীতে শীতলক্ষ্যায় গোসলে নেমে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ হওয়া দুই স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর শীতলক্ষ্যা নদীর দুই তীর থেকে পর্যায়ক্রমে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার (৫ মে) সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে লাশ দু’টি নদী থেকে উঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে শিবপুরের লাখপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হয় এই দু’শিক্ষার্থী।

নিহতরা হলেন- শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের লাখপুর গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে ইমা আক্তার। সে স্থানীয় স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ত। অন্যজন পলাশ উপজেলার চরপলাশ এলাকার আব্দুর রহিমের মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার। ইয়াসমিন ৬ষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী।

শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার এবং পলাশ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাদেকুল বারী লাশ উদ্ধারের তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

পলাশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাদেকুল বারী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে লাখপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নামে সম্পর্কে আত্মীয় তিন স্কুলছাত্রী ইমা, ইয়াসমিন ও সাদিয়া। এসময় সাদিয়া তীরে উঠে আসতে পারলেও বাকি দু’জন নদীর স্রোতে পানিতে তলিয়ে গিয়ে নিখোঁজ হয়। তারা কেউ সাঁতার জানতো না।

খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে তাদের উদ্ধারে যায় পলাশ উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। এসময় তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে টঙ্গি থেকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে আবারও উদ্ধার কাজ শুরু করেন তারা। প্রথম দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলা অভিযানে তাদের খোঁজ করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল।

দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল ৭টায় আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করা হলে সকাল সাড়ে ৯টায় ইয়াসমিন ও বেলা ১১টায় ইমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ দুটি বিনা ময়নাতদন্তে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে বলে জানান শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার।

বিজ্ঞাপন

শীতলক্ষ্যা নদী