বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) শুরু হচ্ছে ‘১৯তম দ্বিবার্ষিক এশীয় চারুকলা প্রদর্শনী বাংলাদেশ-২০২২’। প্রদর্শনী চলবে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। এ বছর বাংলাদেশ, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মিসর, তুরস্ক, পর্তুগাল, ভেনেজুয়েলাসহ বিশ্বের ১১৪ দেশের ৪৯৩ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করবে।
বিগত চার দশক ধরে এই উৎসবের আয়োজন করে আসছে শিল্পকলা একাডেমি। দুই বছর পর পর অনুষ্ঠেয় এই আয়োজন করোনার কারণে ২০১৮ সালের পর কয়েক দফা পিছিয়ে এ বছর আবার শুরু হচ্ছে। শিল্পের এই মহাযজ্ঞ ইতিমধ্যে পরিচিতি পেয়েছে এশিয়ার বৃহৎ চারুকলা প্রদর্শনী হিসেবে।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুরে শিল্পকলা একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রদর্শনীর বিস্তারিত তুলে ধরা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ বছর প্রদর্শনীতে দেখা যাবে দ্বিমাত্রিক ও ত্রিমাত্রিক শিল্পকর্ম। চিত্রকলা, ভাস্কর্য, আলোকচিত্র, স্থাপনাশিল্পসহ নানা মাধ্যমে নির্মিত শিল্পকর্ম নিয়ে যোগ দিচ্ছেন দেশের ১৪৯ এবং বিদেশের ৩৪৪ জন শিল্পী। বাংলাদেশের ৪৫ জন শিল্পীর অংশগ্রহণে ৩১টি পারফরম্যান্স আর্ট এবং বিদেশি সাত শিল্পীর সাতটি পারফরম্যান্স আর্ট উপস্থাপন করা হবে প্রদর্শনীতে।
এ বছরও প্রদর্শনীর শিল্পকর্মের ওপর থাকছে পুরস্কার। নয়টি শাখায় পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হবে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যমানের তিনটি গ্র্যান্ড এবং তিন লাখ টাকা মূল্যমানের ছয়টি সম্মানসূচক পুরস্কার। পুরস্কারের বিচারক ছিলেন বাংলাদেশের বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবী, শ্রীলঙ্কার জগৎ ভিরাসিংহে, তুরস্কের নারসেরিন টর, যুক্তরাজ্যের ইয়োনা ব্লাজউইক ও পোল্যান্ডের শিল্পী জ্যারোস্ল সুহান।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী বলেন, ‘শিল্পের নানা মাধ্যমের প্রদর্শনীর সঙ্গে এই বিয়েনালটি হতে যাচ্ছে ১১৪টি দেশের শিল্পীদের অভূতপূর্ব এক মিলনমেলা। আমরা এই বিয়েনালের কোনো থিম নির্ধারণ করি না। কারণ আমরা জানি, প্রত্যেক শিল্পী তার ভেতরে এক শৈল্পিক দর্শন ধারণ করেন, যা তাকে পরবর্তী সময়ে শৈল্পিক বুদ্ধিজীবীতে পরিণত করে। আমরা জানতে চাই চলমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শিল্পী বর্তমান সময়কে কীভাবে চিত্রিত করেছেন; তার মানসপটে শিল্পের কোন মাধ্যমে তিনি তার ভাবনার কথা তুলে আনতে চান।’
সর্বশেষ ২০১৮ সালের আয়োজনে অংশ নিয়েছিলেন ৬৮টি দেশের শিল্পীরা। শুক্রবার সকাল ১০টায় সেগুনবাগিচার জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে ভার্চ্যুয়ালি প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাপতিত্ব করবেন সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
এবারও প্রদর্শনী উপলক্ষে থাকবে দেশ-বিদেশের শিল্পী, সমালোচক, বিচারক ও পর্যবেক্ষকদের অংশগ্রহণে সেমিনার। শুক্রবার বেলা ১১টায় জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে রয়েছে সেমিনার ‘হোম অ্যান্ড ডিসপ্লেসমেন্ট’। শিক্ষাবিদ সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন শিল্পী ও সমালোচক মোস্তাফা জামান। আলোচনায় অংশ নেবেন বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক লুভা নাহিদ চৌধুরী।
বিজ্ঞাপন