সাঈদ পান্থ:
বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী কামরুল আহসান, কাউন্সিলর প্রার্থী মহানগর বিএনপির তিন যুগ্ম আহ্বায়ক ও চার সদস্যসহ ১৯ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কেন্দ্রীয় কমিটি। একইসাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত আকারে জানাতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন মহানগর বিএনপির দফতরের দায়িত্বে থাকা জাহিদুল ইসলাম রিপন। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব কথা উল্লেখ করা হয়। এর আগে রাত ১০টার দিকে ১৯ জনের হোয়াটসঅ্যাপে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা বলেছেন জনগণের দাবি প্রেক্ষিতেই নির্বাচনে অংশ গ্রহণের বাধ্য হয়েছেন তারা। বহিষ্কার হওয়ার সিদ্ধান্ত জানলেও স্থানীয় জনগণের চাপে তারা এই নির্বাচনে অংশ নিয়েছে বলে দাবি তাদের।
এই কারণ দর্শনের তালিকায় জেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মরহুম আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপনসহ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান টিপু, মো. হারুন অর রশিদ ও শাহ মো. আমিনুল ইসলাম রয়েছেন। বাকিরা সবাই নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও বিভিন্ন ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা।
নগর বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় ১৯ নেতার নামের তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের শাস্তি হিসেবে বহিষ্কারের সুপারিশ করে তালিকা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।
বরিশাল জেলা তাতিঁ দলের সাবেক সভাপতি কাজী মোহাম্মদ শাহীন মোহন দাবি করেছেন তিনি এখন আর বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত নন। এছাড়া এলাকার মানুষের ভালবাসায় নির্বাচনে এসেছি।
১২ জুন অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন। বিএনপি এই নির্বাচনে অংশ না করার সিদ্ধান্ত দিলেও সিটি নির্বাচনে ১৮ জন পদধারী বিএনপির নেতা অংশ নিয়েছে।
বিজ্ঞাপন