নাজমুন নাহার সোহাগী। জন্ম লক্ষ্মীপুরে। ঘুরেছেন বিশ্বের ৯৩টি দেশ। স্মৃতির মানচিত্রে জমিয়েছেন অসংখ্য গল্প, অসংখ্য জায়গার চিত্র। চ্যানেল আইয়ের ছাদ বারান্দায় তিনি মেলে ধরলেন সেই মানচিত্র। বললেন ৯৩ দেশ দেখার অভিজ্ঞতা ও ঘুরে বেড়ানোর গল্প।
বিদেশ ঘোরাঘুরির প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে আপনার শৈশবের বিষয়ে জানতে চাই। কোথায় কেটেছে? কেমন কেটেছে?
আমার শৈশব কেটেছে লক্ষ্মীপুরে। আমার স্কুল শুরু হয় নন্দনপুর প্রাইমারি স্কুল দিয়ে। ভূগোলের প্রতি আকর্ষণটা সেখান থেকেই জন্ম নিয়েছিল। আমার প্রধান শিক্ষক প্রয়াত আমানত উল্লাহ স্যার আমাকে কাঠের মানচিত্র খণ্ড-বিখণ্ড করে জোড়া লাগাতে বলতেন। সেটা সুন্দরভাবে জোড়া লাগানোর পর পৃথিবীর মানচিত্র দিতেন। সেটাও খুব দ্রুত ও সুন্দরভাবে জোড়া লাগিয়ে দিতাম আমি। তখনই ভূগোলের প্রতি আগ্রহ জন্ম নেয়। এরপর পড়েছি দালালবাজার নবীন কিশোর উচ্চবিদ্যালয়। এসএসসির পর লক্ষ্মীপুর সরকারী কলেজে থেকে এইসএসসি পাশ করে ভর্তি হই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।
বেড়ানোর ঝোঁকটা কখন এবং কেন আসলো?
আমার মনে হয়, আমি জন্মেছি ভ্রমণের জন্য। কেন ভালো লাগতো জানি না। যখন ছোট ছিলাম, আমার মনে আছে, ফোর/ফাইভে পড়ি, তখন পড়াশুনা করতাম বাড়ির সামনের খোলা জায়গায়। নারকেল সুপারির বাগানে। একটা নারকেল গাছের নিচে পাটি বিছিয়ে পড়তাম। চেয়ার টেবিলে পড়তাম না। প্রকৃতির মধ্যে বসে বসে পড়তে ভালো লাগতো। তখন মনে হতো পৃথিবীর প্রকৃতিগুলো দেখবো। ভ্রমণ কাহিনী পড়তে ভালো লাগতো।
এছাড়া ছোটবেলা থেকেই আমি ঘরে বসে পড়তে পছন্দ করতাম না। প্রাকৃতিক পরিবেশে পড়াশুনা করতাম। এছাড়া শৈশবে বাবার মুখে আরবের কথা শুনতাম। কারণ, আমার দাদা ১৯২৬ থেকে ১৯৩১ সাল পর্যন্ত আরব ভ্রমণ করেছেন। সেসব গল্প শুনেই বড় হয়েছি। তখন মনে সাধ জন্মেছে আমিও ঘুরবো। দেশ বিদেশ দেখবো।
দেখতে দেখতে ৯৩টা দেশ ঘুরেছেন। অচিরেই সেঞ্চুরি হবে। বেড়ানো শুরুর গল্পটা শুনতে চাই।
শুরুর গল্পটা খুবই, চমৎকার, মজার এবং অ্যাডভেঞ্চার। ২০০০ সালে প্রথম বেড়াতে যাই আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে। ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে। এটা ছিল শিক্ষণীয় একটা অ্যাডভেঞ্চার ট্যুর।
বিশ্বের ৮০টা দেশেরে ছেলে-মেয়েদের সাথে পাহাড়ে উঠেছি। পিঠে ব্যাকপ্যাক নিয়ে জঙ্গলে ঘুরেছি। হিংস্র প্রাণীবহুল এলাকায় প্রাকৃতিক পরিবেশে তাঁবু করে থেকেছি। পাথর, পাহাড়, ঝর্ণা, গুহা, জঙ্গল সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় একটা পরিবেশের মধ্যে পুরো সময় পার করেছি। নিজেরা রান্না করে খেয়েছি। মাটিতে শুয়েছি। আমরা যে মাটির মানুষ, ভেতরে যেন কোনো অহংকার না থাকে সেই দীক্ষা নিয়েছি। মিলে মিশে বসবাস করার শিক্ষা ঐ অ্যাডভেঞ্চার প্রোগ্রামে পেয়েছি। এবং এখনো সেই শিক্ষাটা ধারণ করছি।
তখন মনে হয়েছিল একদিন সারাবিশ্ব ঘুরবেন?
না, তখনো মনে হয়নি যে সারা বিশ্ব ঘুরতে পারবো। তবে খুব করে চাইতাম।
কখন মনে হলো?
ওই যে বললাম খুব করে চাইতাম? সেই চাওয়া থেকে ভাবলাম কী করে আমি ঘুরে বেড়াতে পারবো? আমার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। পয়সা ইনকাম করতে হবে। সেই চিন্তা থেকে বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্কলারশিপের জন্য আবেদন শুরু করলাম। মিলেও গেলো। সুইডেনের লোন ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষা বৃত্তি পেয়ে গেলাম। ২০০৬ সালে সুইডেন যাওয়ার পরে মনে হয়েছে আমি ঘুরতে পারবো।
তারপর শুরু হলো বেড়ানো? কিভাবে?
আমি চাইছিলাম স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ থাকা পর্যন্ত ইউরোপের যত বেশি দেশ পারি ঘুরবো। বাবার থেকে যে টাকা নিতাম সেটা থাকা-খাওয়া, পড়াশুনার পেছনে ব্যয় করতাম। ঘোরার জন্য টাকা আয় করতে শুরু করলাম। কঠিন পরিশ্রম করলাম। সামারের তিনমাসে টানা নব্বই দিন, একানব্বই দিন কাজ করতাম। ছুটির দিনগুলোতে সতের আঠার ঘণ্টা কাজ করেছি। সেই টাকা দিয়ে শুধুই ঘুরেছি। কারণ তখন আমার মনে হয়েছে, স্টুডেন্ট ভিসা শেষ হয়ে গেলে বুঝি আমার চলে আসতে হবে। এই সময়ে যতবেশি সংখ্যক দেশ পারি ঘুরবো। এই সময়টায় আমার তিনটাই কাজ ছিল। পড়াশুনা, কাজ এবং ঘোরাঘুরি।
অনেক পরিশ্রম করেছেন-
হ্যাঁ। মনে আছে, রাতে তিন-চার ঘণ্টা ঘুমিয়েছে। ভোরে উঠে ক্লাসে গিয়েছি। ক্লাস শেষে কাজ করে এসে রান্না করে খেয়ে গভীর রাত পর্যন্ত প্রেজেন্টেশন রেডি করেছি। আবার পরেরদিন ভোরে বের হয়েছি। আমার জীবনের সে সাইকেলটা, এটা ছিল খুব কষ্টকর। তবু আমি এনজয় করেছি। আনন্দ নিয়ে পরিশ্রম করেছি। কারণ, আমি জানি, জীবনের ইচ্ছে পূরণ করতে হলে আমাকে পরিশ্রম করতেই হবে।
শুধু মনের আনন্দেই ভ্রমণ, না আরও কোনো ব্যাপার আছে?
কিছু বিষয় তো থাকেই। যেমন, ভ্রমণের প্রথম দিকে যখন দেখতাম বাংলাদেশ বলতে অনেকে বোঝে ভারতের অংশ। তখন খুব খারাপ লাগতো। তাদের বোঝাতাম বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ। ভারত বা কোনো দেশের অংশ নয়। আমাদের সবকিছু ভিন্ন। আমরা খুবই শক্তিশালী একটা জাতি। বিশ্বের কাছে বাংলাদেশকে তুলে ধরা, বাংলার কালচারকে তুলে ধরার আনন্দ কাজ করে এই ভ্রমণের মাধ্যমে। বাংলাদেশের মানচিত্র, পতাকা আমি পৃথিবীর সব দেশে নিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া বাংলাদেশের দর্শনীয় স্থানগুলো নিয়ে বিভিন্ন ভাষায় বই করবো। যেন আন্তর্জাতিক টুরিস্টরা বাংলাদেশে আসে।
৯৩ টা দেশ ঘুরতে গিয়ে এমন কোনো জায়গা পেয়েছেন যেখান থেকে ফিরতে মন চায়নি? থেকে যেতে মন চেয়েছে।
হ্যাঁ আছে। পেরুর রেইনবো মাউন্টেইন। চৌদ্দ হাজার ফিট উঁচু পাহাড়। এখানে উঠতে গিয়ে শ্বাস বন্ধ হয়ে প্রায় মারা যাচ্ছিলাম। আমার সাথের এক টুরিস্ট ইন-হেলার দেওয়াতে বেঁচে যাই। আমার শ্বাস বন্ধ হয়ে যাচ্ছে; কিন্তু আমি তাকিয়ে আছি অপরূপ প্রকৃতির দিকে। সাত রঙের পাহাড়। দেখতে অপূর্ব। এত চমৎকার পাহাড় আর কোথাও দেখিনি। আমার মনে হয়েছিল এখানে থেকে যাই। কিন্তু ওখানে তো থাকা যায় না। ফিরে আসতেই হয়েছে।
আরেকটা জায়গা থেকে ফিরতে মন চায়নি। আইসল্যান্ডের ল্যান্ড মানালুভার পাহাড়। পাহাড়ে কোনো গাছ নেই। তারপরও কোথাও দেখা যায় পার্পল কালার। কোথাও গোলাপি, কোথাও অ্যাশ কালার, কোথাও বা সবুজ। সাত আটটি কালার একসাথে। আমার মনে হয়েছে ওহ কী চমৎকার সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি। ওখানে আমি সৃষ্টিকর্তাকে ফিল করেছি। জায়গাটা এত সুন্দর যে আমার ফিরতে মন চায়নি। এবং ঐ পাহাড়ের নিচেই আমি তাঁবু টানিয়ে থেকেছি। রাতে তাঁবু ফাঁক করে তাকিয়ে জোছনা দেখেছি। এত মুগ্ধকর!
বারবার যেতে ইচ্ছে করে এমন জায়গা…?
বারবার যেতে ইচ্ছে করে মন্টেনিয়াগোর কটোর শহরে। খুবই ছোট ও সুন্দর একটা শহর। চারদিকে পাহাড়ের ভ্যালি। তার নিচ দিয়ে কয়েকটি আঁকাবাঁকা রাস্তা। সে রাস্তার পাশ দিয়ে পানি। খুব সুন্দর কালারের পানি। সেই পানিতে মানুষ মাছ ধরছে, গোসল করছে। আমার মনে হয়েছে যেন কোনো ছবির ভেতর আছি। এত সুন্দর!
হলিউডের সেলিব্রেটিরা সামারে ওখানে কটেজ কিনে থেকে যায়। আমারও খুব মনে হয়েছে একটা কটেজ কিনে থেকে যাই। বারবার এখানে যেতে চাই।
সুন্দর সুন্দর জায়গার কথা শুনলাম। এবার সুন্দর মানুষদের কথা শুনি। কোন এলাকার মানুষ সবচে বন্ধুসুলভ মনে হয়েছে?
পৃথিবীর সব দেশেই ভালো-খারাপ মানুষ আছে। তবে আমার তো বেশিরভাগ টুরিস্টদের সাথে পরিচয় হয়েছে? সেই হিসাবে বলতে পারি সব দেশের টুরিস্টরাই খুব ভালো। কারণ হলো, তারা জগতকে জানার জন্য বের হয়েছে। একবছর দুই বছর ধরে তারা দেশে দেশে ঘুরছে। এই মানুষগুলো জানতে জানতে না খুব উদার ও প্রসারিত হয়ে যায়। সবাই খুব হেল্পফুল হয়ে যায়।
তবে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষগুলো খুব আন্তরিক। মায়ের মতো মমতা, ভাইয়ের মতো নির্ভরতা, বাবার মতো স্নেহ নিয়ে ওরা পাশে দাঁড়ায়।
এতগুলো দেশ ঘুরেছেন। আনন্দের স্মৃতি জমিয়েছেন প্রচুর। নিশ্চয় ভয়ের ঘটনাও আছে? কবে কখন খুব ভয় পেয়েছিলেন?
বলিভিয়া ট্যুরে খুব ভয়ের একটা ঘটনা ঘটেছিল। বলিভিয়ায় অনেক বড় একটা লেক আছে। এর নাম লেক তিতিকাকা। দক্ষিণ আমেরিকার খুবই বিখ্যাত লেক এটি। লেকটি পেরু ও বলিভিয়ায় অবস্থিত। আমি পেরু থেকে বাই রোডে বলিভিয়া গিয়েছিলাম। লেকের মাঝখানে একটা দ্বিপ আছে। দ্বীপে নৌকায় যেতে তিন ঘণ্টা লাগে। দ্বীপের মধ্যে দুইশটা সিঁড়ি পেরিয়ে উপরে উঠতে হয়। দ্বিপের উপর থেকে সুন্দর প্রকৃতি দেখব। লেকের মানুষের জীবন যাত্রা দেখব।
আমাদের যেতে যেতে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। দ্বীপে আলো নেই। মোবাইলের আলো বা টর্চ জ্বালিয়ে চলতে হয়। প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত ছিলাম। আমরা চারজন টুরিস্ট ইয়ুথ হোস্টেলে উঠেই ব্যাকপ্যাকটা রেখে খাবারের সন্ধানে চলে গিয়েছি। এত ক্ষুধার্ত ছিলাম যে কটেজের নাম পর্যন্ত দেখিনি।
ব্যাগ রেখেই পঞ্চাশটা সিঁড়ি উঠে খেতে গেলাম। খাওয়া শেষে অন্যরা লেকের নিচটা দেখতে গেল। খুব টায়ার্ড ছিলাম বলে আমি যাইনি। ওদের থেকে বিদায় নিয়েই আমি আর কিছু চিনতে পারি না। খুব অন্ধকার। খাড়া সিঁড়ি। কোনোভাবে পড়ে গেলে অনেক নিচে পানিতে পড়তে হবে। অন্ধকারের ভেতর ধরে ধরে অনেক কষ্টে একটা জায়গায় গেলাম। প্রায় সোয়া একঘণ্টা লাগলো আমার কটেজ খুঁজে পেতে। সেদিন খুব ভয় পেয়েছিলাম।
বিশ্বের অনেক জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন। বাংলাদেশও ঘুরেছেন। বাংলাদেশের কোন জায়গা বিশ্বমানের ভ্রমণ কেন্দ্র হতে পারে বলে মনে হয়েছে?
থানচির রেমাক্রি ভিলেজটা খুব সুন্দর লেগেছে। নাফাখুমের পাহাড়ি দৃশ্যটা অপূর্ব। লালাখালের পানি চমৎকার। লালাখালটা আন্তর্জাতিক টুরিস্টের পছন্দের জায়গা হতে পারে।
আপনার জন্মস্থান লক্ষ্মীপুরে গিয়েছিলেন কিছুদিন আগে।
জন্মভূমির প্রতি ছোট একটা টান তো সবসময়ই কাজ করে। অনেক স্মৃতি আছে এখানে। ছোটবেলায় স্কুলে গিয়েছি। বৃষ্টি মধ্যে কাদামাটি মেখে খেলেছি। বৃষ্টির সময় কচুপাতা মাথায় দিয়েছি। লক্ষ্মীপুর গেলে স্কুলের বন্ধুদের সাথে দেখা হয়। টিচারদের সাথে দেখা হয়। অন্যরকম ভালোলাগা কাজ করে।
আপনি জানেন বাংলাদেশের নারীরা এখন বেশ ঘোরাফেরা করছে। তারা দলবেঁধে ভ্রমণ করছে। অনেকগুলো ফেসবুক গ্রুপ আছে ভ্রুমণকারীনীদের। তাদের উদ্দেশে আপনি যেটা বলতে চান?
হ্যাঁ আমি দেখেছি। নারীরা আগে ভ্রমণ করতে পারতো না। তাদের বাধা দেওয়া হতো। নারীদের উদ্দেশ্যে বলবো, তারা ভ্রমণ করুক। ক্রেওকাডং যাক, পাহাড়ে যাক। বাংলাদেশের সব জায়গা ভ্রমণ হলে বিশ্ব ভ্রমণে বের হোক। তোমার ভেতর যে মেধা আছে সেটা উন্মোচন করো। ভয় পেলে চলবে না। আত্মনির্ভরশীল হতো হবে। শিক্ষিত হতে হবে। ভালো লক্ষ্য হতে হবে। ভালো কাজে পিছিয়ে যাওয়ার কিছু নেই। তোমার জীবনের প্রতিটা মুহূর্ত কাজে লাগাও।
চ্যানেল আই অনলাইনের পাঠকদের জন্য পয়সা বাঁচিয়ে ভ্রমণের একটা টিপস দিতে চেয়েছিলেন?
আমরা মনে করি পৃথিবী দেখার জন্য কোটি কোটি টাকার প্রয়োজন। আসলে তা না। আমি কোটিপতির মেয়ে নই। আমার বাবা মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী ছিলেন। কিন্তু আমি আত্মনির্ভরশীল হতে চেয়েছি। যেহেতু আমার অনেক টাকা নেই কিন্তু যেতে হবে অনেক জায়গায় সেহেতু ভ্রমণ কী করে পয়সা বাঁচিয়ে করা যায় তার উপর রিসার্চ করতাম।
আপনারা ভ্রমণে যাওয়ার দুই তিনমাস আগে টিকেট করে রাখবেন। তাহলে দেখবেন খরচ অনেক কম পড়বে। বাই রোডে ট্রাভেল করার চেষ্টা করবেন। যেখানে যাবেন তার আশপাশে দেখার মতো আর কী কী আছে ম্যাপ ও নেট থেকে জেনে নেবেন। একটি দেশ দেখার পর বাইরোডে আশপাশের অন্যান্য দেশ দেখবেন। চিপেস্ট ফ্লাইটগুলো খোঁজ নেবেন। কোন শহরে ফ্লাই করলে খরচ কম হবে এগুলো রিসার্চ করে বের করবেন।
থাকার বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই ইয়ুথ হোস্টেলে থাকবেন। ইয়ুথ হোস্টেলের সুবিধা হলো আপনার মতো অনেক ট্রাভেলারের সাথে দেখা হবে। ইয়ুথ হোস্টেলে আমেরিকা অস্ট্রেলিয়ার মতো জায়গায় বাংলাদেশি টাকায় এক থেকে দেড় হাজার টাকায় রাত থেকেছি আমি। ধরুন আপনি নর্থ অস্ট্রেলিয়া যাবেন। নেটে চিপেস্ট ইয়ুথ হোস্টেল ইন নর্থ অস্ট্রেলিয়া লিখে সার্চ দিলেই সব চলে আসবে। ডাউন-টাউনে থাকবেন। তাহলে সিকিউরিটি পাবেন। ট্রেন বা বাস পাবেন হাতের কাছেই।