৪৪০ রোহিঙ্গা পরিবারকে ফেরত নেবে মিয়ানমার

মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব মিন্ট থোয়ে বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ৪৪০ রোহিঙ্গা হিন্দু পরিবারকে ফেরত নিতে তারা রাজি।

রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

মিন্ট থোয়ে বলেন: রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারের প্রস্তুতি সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের অবহিত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ৩ দফায় বৈঠকে রোহিঙ্গাদের দাবিসমুহ জানা গেছে।

প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে মিয়ানমার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তিনটি ক্ষেত্রে আলোচনা করার। রোহিঙ্গাদের সাথে যে আলোচনা হয়েছে তা আবারো হবে। একই সঙ্গে আসিয়ানের প্রতিনিধিদের সাথেও আলোচনা হবে। আসিয়ানের রোহিঙ্গা সংক্রান্ত মার্চ মাসে দেয়া প্রস্তাবনা বিবেচনা করা হবে।

এ সময় তিনি বলেন: প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় উভয় পক্ষের আলোচনার মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে বৈঠকের পাশাপাশি পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এ সংক্রান্ত বৈঠক হবে ঢাকায় ফিরে।

মিয়ানমারের প্রতিনিধিদলটি রোববার সকালে কুতুপালং ৪ নম্বর ক্যাম্পে যান। যেখানে গতকালকের ৩৫ সদস্যের রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের সাথে তৃতীয় দফায় বৈঠক করেন। টানা ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠকে মিয়ানমারের প্রতিনিধিদের সাথে নিজের নানা দাবির কথা জানান রোহিঙ্গারা।

রোহিঙ্গারা বলেছেন, নাগরিকত্ব, স্বাধীন চলা-ফেরার নিরাপত্তা প্রদান করলে তারা স্বদেশে ফেরত যাবেন। মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা তাদের কথা শোনেন এবং রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরত যাওয়ার আহ্বান জানান।

মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব মিন্ট থোয়ে’র নেতৃত্বে ১৯ সদস্যের প্রতিনিধি দল শনিবার সকাল ১০টায় কক্সবাজার পৌঁছেন। এরপর উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যান। প্রতিনিধিদল কুতুপালং ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের ৩৫ জনের একটি দলের সাথে ২ দফায় আলাপ আলোচনা শুরু করেন।

২ দফার আলোচনায় রোহিঙ্গাদেরকে নিজ দেশে ফিরে যেতে আহ্বান জানান মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা। একই সঙ্গে ফিরে গেলে সেখানে কি রকম সুযোগ-সুবিধা পাবে তার সম্পর্কে ধারণা দেয়া হয়।

বৈঠকে অংশ নেয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা জানান, বৈঠকে প্রত্যাবাসন ইস্যুতে যৌথ ডায়ালগে সম্মতি জানিয়েছে মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা।

মিয়ানমাররোহিঙ্গারোহিঙ্গা ক্যাম্প