মাত্র ২৫ থেকে ৩০ জন বললেই পদত্যাগ করতে হবে? তা গ্রহণযোগ্য নয় মন্তব্য করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম বলেছেন, অন্দোলনের কারণে যে ক্ষতি হয়েছে তার হিসাব নেওয়া হবে।
অবরোধের ৯ দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদেরকে এসব কথা বলেন তিনি।
এর আগে তার বাসভবনের সামনে থেকে অন্দোলনকারীদের শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের সরিয়ে দেয় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এর পরপরই নিজের কার্যালয়ে যান উপাচার্য ফারজানা ইসলাম।
এ জন্য তিনি ছাত্রলীগকে ধন্যবাদও জানান।
পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, ‘আন্দোলনের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ক্ষতি হয়েছে, তার হিসাব নেয়া হবে। তবে এ ঘটনায় আমরা খুবই মর্মাহত।’
‘‘এই আন্দোলন শুধু শারীরিক ক্ষতিই করেনি; গত দু’দিন ধরে আমাদের অবরুদ্ধ রেখে যে অশ্রাব্য ভাষা ব্যবহার করেছে তাতে আমরা মানসিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।’’
তার দাবি, সারাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে অস্থিরতা চলছে; তা সরকারকে খতিয়ে দেখতে হবে।
এর আগে মঙ্গলবার সকালে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে চলা আন্দোলনে দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন তিন সাংবাদিকসহ অন্তত ১২ জন।
আগের দিন রাত থেকে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ রাখার পর মঙ্গলবার সকালে উপাচার্যপন্থী ও উপাচার্যবিরোধীরা পাল্টাপাল্টি অবস্থান নেন। এক পর্যায়ে দুইপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে সেখানে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও মিছিল করে ক্যাম্পাসে অবস্থান নেয়।
উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন চলছে।
আন্দোলনকারীদের মুখপাত্র রায়হান রাইন সাংবাদিকদের বলেন, দুর্নীতিবাজ উপাচার্যের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত ঘেরাও কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।