১৫ দিনেই এলো বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স

প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ইতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ১৫ দিনেই প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স।

অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বৈধ পথে অর্থাৎ ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ২ শতাংশ প্রণোদনা দেয়া।

মন্ত্রণালয় বলছে, প্রণোদনা দেয়ার কারণে জানুয়ারি মাসের ১৫ দিনেই প্রায় ৯৭ কোটি ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। দুই/এক দিনের মধ্যেই এ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন: প্রবাসীদের মাঝে পরিবর্তন এসেছে। তারা এখন হুন্ডির মাধ্যমে টাকা না পাঠিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠাচ্ছে। এই আয় নিয়ে কখনো কেউ প্রশ্ন করবে না। প্রবাসীদের এই আয় ট্যাক্স ফ্রি বা করমুক্ত আয় হিসেবে পরিগণিত হবে। এটা একটা ভাল উদ্যোগ তারা (প্রবাসীরা)  গ্রহণ করেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স দিন দিন বাড়ছে। আমরা তাদের কাছে কৃতজ্ঞ।

রেমিট্যান্সে ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। প্রবাসীরা এখন ১০০ টাকা দেশে পাঠালে যার নামে টাকা পাঠাচ্ছেন তিনি ওই ১০০ টাকার সঙ্গে ২ টাকা যোগ করে ১০২ টাকা তুলতে পারছেন। চলতি ২০১৯-২০২০ অর্থবছরের বাজেটে এ জন্য ৩ হাজার ৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের অর্ধেক সময়েই ১০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে রেমিট্যান্স।

রেমিট্যান্স প্রবাহে ‘সুখবর’ নিয়ে শুরু হয়েছিল চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছর। প্রথম মাস জুলাইয়ে এসেছিল ১৫৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার।

অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) রেমিট্যান্স এসেছিল ৯৪০ কোটি ৩৪ লাখ (৯.৪ বিলিয়ন) ডলার। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ বেশি।

২০১৯ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৬৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার। যা ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি। এক মাসের হিসাবে বাংলাদেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে গত ডিসেম্বরে।

এখন পর্যন্ত এক মাসে সর্বোচ্চ ১৭৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল ২০১৯ সালের মে মাসে।

সরকারের তথ্যমতে, বর্তমানে এক কোটির বেশি বাংলাদেশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থান করছেন। জিডিপিতে তাদের পাঠানো অর্থের অবদান ১২ শতাংশের মত।

অর্থমন্ত্রণালয়প্রবাসী আয়বাংলাদেশ ব্যাংকরেমিট্যান্স