হেরেই চলছে রংপুর, জয়ে ফিরেছে চট্টগ্রাম

প্রথম ম্যাচে ৬৮ রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা সঙ্গী হয়েছে। দ্বিতীয় ম্যাচে সেই লজ্জা থেকে খানিকটা বের হলেও হার পিছু ছাড়েনি ইনসেপ্টা রংপুর রেঞ্জার্সের। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের কাছে ৬ উইকেটে হেরেছে রংপুর।

নাঈম শেখের দুর্দান্ত ৭৮ রানের ইনিংস রংপুরকে এনে দিয়েছিল ১৫৭ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। কিন্তু হেসেখেলেই সেই রান ৬ উইকেট ও ১০ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এটি চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়। আর মোহাম্মদ নবির নেতৃত্বে রংপুর রেঞ্জার্স হারলো তাদের প্রথম দুই ম্যাচেই।

নাঈমের সঙ্গে আর এক-দুজন ব্যাটসম্যান তাদের ইনিংস বড় করতে পারলে হয়তো সংগ্রহটা আরেকটু বেশিই হত রংপুরের। তবে তা হয়নি। নাঈমের পর নবির ২১ রানই বুঝিয়ে দেয় ব্যাটিংয়ে কী করুণ অবস্থা চলছে রেঞ্জার্সদের।

ভারতে দুর্দান্ত পারফর্ম করা নাঈম বিপিএলেও টেনে এনেছেন তার রেশ। ৩ ছয় ও ৬ চারের মারে ৫৪ বল খেলে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে এই বাঁহাতি ওপেনার ফিরতেই নড়বড়ে হয়ে যায় রান ঘোড়ার চাকা। শেষপর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে এই দেড়শো পেরোনো ইনিংসই হয় সম্বল।

টি-টুয়েন্টিতে ১৫৭ রান নেহাত কম নয়, বোলাররা একটু হিসেব করে বল করলে এই পুঁজি দিয়েই লড়তে পারতো রংপুর। কিন্তু কিসের কী! প্রথমদিকে বোলাররা এতটাই মার খেলেন যে তাতেই কাজটা সহজ হয়ে যায় চট্টগ্রামের দুই ওপেনার চ্যাটউইক ওয়ালটন ও আবিষ্কা ফার্নান্দোর জন্য। কেবল উদ্বোধনী জুটিতেই ৪৩ বলে আসে ৬৮ রান।

২৩ বলে ৩৭ করে ফার্নান্দো ফিরলেও ওয়ালটন ঠিকই তুলে নেন ফিফটি। হাফসেঞ্চুরি তুলে অবশ্য পরের বলে আউট। ৩৪ বলে ৫০ রানের ইনিংসটিতে ক্যারিবীয় ওপেনারের চারের মার ৪টি, আর বল উড়িয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করেন তিনবার। দুই ওপেনারের দেখানো রাস্তাটা পরিষ্কার করেন ইমরুল কায়েস। ৩৩ বলে ৪৪ রান তুলে তবেই ফিরেন সাজঘরে।

ইনসেপ্টা রংপুর রেঞ্জার্সচট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সবঙ্গবন্ধু বিপিএলবিপিএল-২০১৯লিড স্পোর্টস