‘হিম কফিনে’ এরশাদকে জাপা নেতা-কর্মীদের শেষ ফুলেল শ্রদ্ধা

কাকরাইলস্থ জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রী কার্যালয়ে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে শেষবারের মতো ফুলেল শ্রদ্ধা জানিয়েছে দলটির নেতা-কর্মীরা।

দুপুর ১২টার পর থেকে শ্রদ্ধার জন্য রাখা এরশাদের হিম-কফিনে সারাদেশের বিভিন্ন ইউনিট থেকে আসা নেতা-কর্মীরা ফুলেল শ্রদ্ধা জানাতে শুরু করে। এর মাঝে দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে সাবেক এ রাষ্ট্রপতির জন্য বিশেষ দোয়া মহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

শেষবারের মতো কাকরাইলস্থ জাতীয় পার্টির (জাপা) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পৌঁছায় দলটির প্রতিষ্ঠাতা, সাবেক রাষ্ট্রপতি ও একাদশ জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মরদেহ। কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মরদেহ গ্রহণ করেন জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এরশাদের ছোট ভাই জিএম কাদের এবং মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা।

এরশাদকে শেষ বারের মতো শ্রদ্ধা জানাতে সকাল থেকেই ঢাকা মহানগর ও সারাদেশ থেকে জাতীয় পার্টির নেতা-কর্মীরা তাদের প্রিয় এ নেতাকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে উপস্থিত হয়। সারিবদ্ধভাবে তারা সাবেক এ রাষ্ট্রপতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।এরশাদের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানানোর অংশ হিসেবে দলটি কেন্দ্রীয় এ কার্যালয়ের তৃতীয় তলায় শোক বই খোলা হয়েছে। আগামি ১৮ জুলাই পর্যন্ত এ শোক বই খোলা থাকবে।

সেখানে কিছুসময় মরদেহ রাখার পরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তৃতীয় জানাযার জন্য এরশাদের মরদেহ নেয়া হবে।

এরআগে, সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় নামাজে জানাযা জাতীয় সংসদের টানেলে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় নামাজে জানাযা হওয়ার কথা থাকলেও বৃষ্টির কারণে টানেলে জানাযার নামাজ আদায় করা হয়।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং সংসদ সদস্যরাসহ অনেকেই জানাযায় অংশ নেন। জানাযা শেষে রাষ্ট্রপতিসহ অন্যরা ফুল দিয়ে মরহুমের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

দুই রাত সিএমএইচের হিমঘরে এরশাদের মরদেহ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন এরশাদের উপ-প্রেস সচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী।

১৬ জুলাই সকাল ১০টায় হেলিকপ্টার যোগে মরদেহ রংপুরে নেয়া হবে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে অথবা ঈদগাহ মাঠে বাদ জোহর চতুর্থ জানাযা ওইদিন বিকেলে ঢাকায় বনানী সামরিক কবরস্থানে এরশাদকে দাফন করা হবে।

বুধবার গুলশান আজাদ মসজিদে এরশাদের কুলখানি হবে।

রোববার সকাল পৌনে ৮টার দিকে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এরশাদ।

এর আগে শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে পড়লে গত ২৬ জুন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করা হয়েছিল। তিনি ফুসফুসে সংক্রমণসহ বয়সজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

জাতীয় পার্টির (জাপা)সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালহুসেইন মুহম্মদ এরশাদ