রাজধানীর কুর্মিটোলায় ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেয়া হয়েছে।
কিছুদিন পর আবার তাকে ফলোআপের জন্য আসতে বলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। মেয়েটি শারীরিক ও মানসিকভাবে আগের চেয়ে স্বাভাবিক হয়ে ওঠায় এবং হাসপাতাল ছেড়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ কে এম নাসির উদ্দিন বলেন, মেয়েটির বাবা এক লিখিত বক্তব্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী, গণমাধ্যম, দেশবাসী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিযেছেন। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল পরিচালক শিক্ষার্থীর বাবার লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকদের পড়ে শোনান।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ওই শিক্ষার্থীকে দেখতে যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আখতারুজ্জামান। তিনি মেয়েটির পাশে থাকার ও সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন।
ধর্ষককে দ্রুত গ্রেপ্তার করায় পুলিশের প্রতি ধন্যবাদ জানিয়ে স্বস্তি প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, এই ঘটনােই যেন এমন শেষ ঘটনা হয়।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর তাকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ করেন ওই ছাত্রী। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে ঢাবির নিজস্ব বাসে রওনা দেন তিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নামেন।
এরপর একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তার মুখ চেপে ধরে সড়কের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। ধর্ষণের পাশাপাশি তাকে নির্যাতনও করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে।
ধর্ষণের এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান। রাত ১০টার দিকে নিজেকে একটি নির্জন জায়গায় আবিষ্কার করেন ওই ছাত্রী। পরে সিএনজি নিয়ে ঢামেকে আসেন। রাত ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে ঢামেক হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করান তার সহপাঠীরা।