হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ আহত ৪

নরসিংদী প্রতিনিধি: নরসিংদীর শিবপুরে মহাসড়কে ট্রলি উঠাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীদের সাথে হাইওয়ে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই পুলিশ সদস্যসহ চার জন আহত হয়েছে। এর মধ্য এক কলেজ ছাত্র ও ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। গুরুতর আহতাবস্থায় সবাইকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছ।

শুক্রবার ১১টার দিকে শিবপুর উপজেলার চৈতন্যা বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলো হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল মাহবুব, বিল্লাল হোসেন।গুলিবিদ্ধ অপর দুইজন হলো সবুজ পাহাড় কলেজের শিক্ষার্থী অহিদ্দুল্লা (১৯) ও ব্যবসায়ী মোহন মিয়া (৪০)। তাদের বাড়ী শিবপুর উপজেলার চৈতন্যা গ্রামে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবী মহাসড়কের পাশের ফলের দোকান থেকে ৫শত টাকা করে চাঁদা দাবী করেন হাইওয়ে পুলিশ। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে পুলিশ তাদের উপর চড়াও হয়ে দোকানপাট ভেঙ্গে দেয়। তারপরই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইট বোঝাই একটি ট্রলি মহাসড়ক দিয়ে যাচ্ছিল। টহলরত হাইওয়ে পুলিশ ট্রলিটিকে আটক করে সাত হাজার টাকা আদায় করেন। এরই মধ্যে ট্রলিটি সাইড করতে গিয়ে রাস্তার পাশে গর্তে পড়ে যায়। এসময় পুলিশ গাড়ীটিকে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিতে চালককে তাড়া দেয়। কিন্তু কোন ভাবেই ট্রলি গাড়িটিকে উঠাতে পারছিলেন না চালক।হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা ট্রলির চালককে মারপিট করলে মহাসড়কের পাশে বসা ফলের দোকানদাররা প্রতিবাদ করে। পুলিশ সদস্যরা ফল দোকানির উপর লাঠিচার্জ করলে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার পর সংবাদ পেয়ে আহতদের দেখতে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে আসেন, শিবপুরের সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আরিফ-উল ইসলাম মৃধা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মো. শফিউর রহমান, শিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদসহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।

ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ. হাফিজুর রহমান বলেন, সরকারের চলমান কর্মসূচি ও দুর্ঘটনা রোধের অংশ হিসেবে মহাসড়কে থ্রি-হুইলারসহ নসিমন ও ট্রলি বন্ধের অভিযান চলছিল।তার অংশ হিসেবে ইট বোঝায় ট্রলি আটক করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয়রা পুলিশের উপর হামলা চালায়। আমাদের দুই পুলিশ সদস্যকে আটকে রেখে অস্ত্র ছিনিয়ে নিয়ে মারধর করে। অবস্থার অবনতি হলে পুলিশ শর্টগানের কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে শিবপুর থানা পুলিশ গিয়ে আমাদের অস্ত্র উদ্ধার করে।

নরসিংদীসেমি লিড