হতাশার মাঝে মাশরাফীর স্বস্তি সাব্বির

আগের চার সফরের মতো নিউজিল্যান্ডের মাটিতে পঞ্চম সফরেও গল্পের কোনো হেরফের নেই। প্রস্তুতি ম্যাচে হারের পর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ। বুধবার সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচেও বড় ব্যবধানে হেরে হতাশ দল। তবে হতাশার মাঝেও টাইগার অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজাকে স্বস্তি সাব্বির রহমানের পারফরম্যান্স। অন্যদের ব্যর্থতার মধ্যে কঠিন কন্ডিশনে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ‍তুলে নিয়েছেন মিডল অর্ডার এ ব্যাটসম্যান।

বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে নিষেধাজ্ঞা মেয়াদ কমিয়ে দলে ফেরানো হয় সাব্বিরকে। তার ফেরার পেছনে বড় ভূমিকা ছিল মাশরাফীর। দলে ফিরে অধিনায়কের আস্থার প্রতিদান দিচ্ছেন সাব্বির।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তেমন কিছু করতে পারেননি। ১৩ রান করে আউট হয়েছিলেন। তবে পরের ম্যাচেই ভালো কিছুর ইঙ্গিত দেন। হাফসেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে আউট হন ৪৩ রানে। তবে শেষ ম্যাচে তুলে নেন সেঞ্চুরি।

সাব্বিরের সেঞ্চুরির পরও ৮৮ রানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের ৩৩১ রানের বিশাল টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ১৬ বল বাকি থাকতে ২৪২ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।

এমন হারে দলের সবাই যখন হতাশ তখন সাব্বিরের মাঝেই স্বস্তি খুঁজে পাচ্ছেন মাশরাফী। ম্যাচ শেষে টাইগার অধিনায়ক বলেন, ‘দলের সবাই হতাশ, তবে সাব্বিরের সেঞ্চুরিটা ইতিবাচক।’

শুরুতে ২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর ৬১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দল যখন ধুঁকছে, তখন দলকে টেনে তোলেন সাব্বির। ১০৫ বলে তিন ফরম্যাট মিলিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর আউট হন ১১০ বলে ১০২ রান করে। তার ইনিংসে দৃষ্টিনন্দন ১২টি চারের সঙ্গে ছিল চোখ ধাঁধানো ২ ছক্কার মার। দলের শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন সাব্বির।

ম্যাচের আগেরদিন নিউজিল্যান্ড ব্যাটসম্যান রস টেলর বলেছিলেন, ডানেডিনে প্রথম একটু দেখে খেলতে পারলে পরে রান হয়। সে বিচারে এটি হাই-স্কোরিং ম্যাচই হতে যাচ্ছে। টেলরের কথাই সত্যি হয়েছে। টপ অর্ডারের কোনো ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরি না পেলেও ৩৩০ রানে পাহাড় গড়ে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের হয়ে রান পেয়েছেন মিডল অর্ডার ও শেষের দিকে ব্যাটসম্যানরাই।

মাশরাফীর কথায়ও সেটা ধরা পড়েছে, ‘আজকের ম্যাচ ৩৫ ওভার পর্যন্ত (নিউজিল্যান্ড ইনিংস) সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু নিশামের (জেমস নিশাম) ইনিংসের পরই ম্যাচটা কঠিন হয়ে যায়।’

হেনরি নিকোলস, রস টেলর ও টম ল্যাথামের হাফসেঞ্চুরির পর শেষ দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলে দলীয় স্কোর তিনশ ছাড়ান নিশাম ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমে। প্রথমে নিশাম ২৪ বলে ৩৭ রান করার পর ১৫ বলে সমান ৩৭ রান করে স্কোর সোয়া তিনশ’র ঘর ছাড়ান গ্র্যান্ডহোমে। সেটাই বাংলাদেশের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

লিড স্পোর্টস