সড়ক মহাসড়কে মৃত্যু কবে বন্ধ হবে?

করোনায় প্রতিদিন মৃত্যুর পাশাপাশি সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। প্রতিদিনই গণমাধ্যমে শিরোনাম হচ্ছে সড়কে মৃত্যুর বিষয়টি। করোনাকালে সড়ক-মহাসড়কে গণপরিবহনের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও ব্যক্তিগত বাহন বেড়েছে, আর মোটরসাইকেলসহ ছোট ব্যক্তিগত বাহনে দুর্ঘটনাও বেড়েছে।

সোমবার সকালে (২০ জুলাই) সিরাজগঞ্জে ৩ জন ও গোপালগঞ্জে এক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুর খবর প্রকাশিত হয়েছে গণমাধ্যমে। দিন শেষে দেশজুড়ে এ সংখ্যা যে বাড়বে, তা বললে ভুল হবে না।

গেল জুন মাসে দেশের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে ৩৫৮টি দুর্ঘটনায় মোট ৩৬৮ জন নিহত এবং ৫১৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। জাতীয় ও আঞ্চলিক দৈনিক, অনলাইন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ মাসিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে তাদের মনিটরিং সেল।

পরিসংখ্যানে দুর্ঘটনার ধরণ বিশ্লেষণে দেখা গেছে, জুন মাসে মোট দুর্ঘটনার ৪৮.৬ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩১.৫৬ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে এবং ১৩.৯৬ শতাংশ ফিডার রোডে ঘটেছে। এছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ২.৭৯ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১.৯৫ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও ১.১২ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে ঘটেছে। মে মাসের তুলনায় বিগত জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনা ৫৬.১৪ শতাংশ, নিহত ৫৭.৩৪ শতাংশ ও আহতের হার ৪৩.৮২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপরোক্ত সংখ্যা ও দুর্ঘটনার নানা তথ্য খুবই উদ্বেগজনক। দিনের পর দিন পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হচ্ছে বলেও মনে হয় না। কিন্তু কেন এ অবস্থা?

সড়ক নিরাপত্তায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম, দুর্নীতি ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ও জবাবদিহীতার অভাবে সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়ছে বলে মনে করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। তাদের এই অভিযোগ একেবারে অমূলক নয় বলে আমাদেরও ধারণা। কোনো বড় ঘটনা ঘটলে তখন নানা প্রেক্ষাপটে সড়ক খাতের অব্যবস্থা উঠে আসে গণমাধ্যমে, আলোচনাও চলে কিছুদিন, তারপরে আবার যা তাই! এ অবস্থার পরিবর্তন হয়া জরুরি বলে আমরা মনে করি। সেইসঙ্গে আশাবাদ, দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে মনোযোগী হবেন।

নিরাপদ সড়ক চাইসড়ক দুর্ঘটনা