যতই অবিস্মরণীয় ফর্মে থাকুন, যতই অ্যাশেজ সিরিজে একাই ফারাক গড়ে দিন তবু স্টিভেন স্মিথ কখনোই ‘গ্রেট’দের তালিকায় জায়গা পাবেন না। বরং ক্রিকেট ইতিহাস তাকে চিরকাল মনে রাখবে ‘চিটার’ হিসেবে। বক্তার নাম মন্টি পানেসার। ইংল্যান্ডের সাবেক স্পিনার।
একটি সাক্ষাতকারে পানেসারের সাফ বলেছেন, ‘আমরা ডিয়েগো ম্যারাডোনার গল্প শুনেছি। বিশ্বকাপে হাত দিয়ে গোল করেছিল। লোকে চিরকাল ম্যারাডোনাকে মনে রাখবে হ্যান্ড অফ গডের জন্য। স্মিথের ক্ষেত্রেও একই কথা বলব। সাউথ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তার বল বিতর্কে জড়িয়ে পড়া কোনোদিন ভুলবে না মানুষ। দারুণ পারফরম্যান্স করা সত্ত্বেও চিটার হিসেবেই ইতিহাসে থেকে যাবে স্মিথ।’
এক বছরের নির্বাসন কাটিয়ে বিশ্বকাপের আগে দলে ফিরেছিলেন স্মিথ। বিশ্বকাপে বিরাট সাফল্য না পেলেও অ্যাশেজ সিরিজে নিজেকে চূড়ান্তভাবে মেলে ধরেছেন। চলতি অ্যাশেজের পাঁচ ইনিংসে ১৩৪’র বেশি গড়ে ৬৭১ রান করেছেন স্মিথ।
পানেসারের কথায়, ‘স্মিথ ফিরে এসে দারুণভাবে মেলে ধরার চেষ্টা করছে নিজেকে। এই রকম পারফর্ম করতেই ভালোবাসে সে। কিন্তু যেদিন খেলা ছাড়বে, নামের পাশে প্রচুর নাম থাকা সত্ত্বেও ও ক্রিকেট প্রেমীরা গ্রেট হিসেবে নেবে কিনা সন্দেহ। সত্যি বলতে কী, পন্টিং অস্ট্রেলিয়ার জন্য যা করেছে, স্মিথও তাই করছে। কিন্তু পন্টিংয়ের সঙ্গে তাকে তুলনা করা মানে পন্টিংকে ছোট করা।’
দুর্ধর্ষ পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে গত বছরের সেই কুখ্যাত ঘটনার কথা অনেককেই ভুলিয়ে দিয়েছেন স্মিথ। কিন্তু পানেসারের মতো আরও একজন রয়েছেন, যিনি ওই ঘটনাটি ভুলতে পারেননি। তার মতে, স্মিথ একজন চিটিংবাজ ছিল এবং চিটিংবাজই থাকবে।
পানেসারের আগে এমন বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন ইংল্যান্ডের আরেক তারকা পেসার স্টিভ হার্মিসন। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না যে কেউ তাকে ক্ষমা করবে। সে চিটিংবাজই থাকবে।’
ইংলিশ সাবেক পেসারের আরও সংযোজন ছিল, ‘স্মিথ যাই করুক না কেন, দেড় বছর আগে সাউথ আফ্রিকায় যে কাণ্ড সে করেছিল,সেটাই সবাই মনে রাখবে। আমার মনে হয় না তার বা ওয়ার্নার আর বেনক্রফটের ব্যাপারে মানুষ তাদের মত পরিবর্তন করবেন।’