স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে কঠোর শৃঙ্খলা নির্দেশনা

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের জাতীয় সম্মেলন শনিবার। এ সম্মেলনকে সামনে রেখে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীদের কঠোর শৃঙ্খলা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্মেলন উপলক্ষে ইতোমধ্যে মঞ্চ-প্যান্ডেলসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সংগঠনটি।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনকে সামনে রেখে ‘ভাই বন্দনায়’ মেতে উঠেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ধানমন্ডিতে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে যারা যার পছন্দের প্রার্থীদের নিয়ে পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানার দিয়ে নিজেদের বলয়ের জানান দেয়া হচ্ছে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সংগঠনের কোনো নেতার বা ব্যক্তির নামে স্লোগান দেয়া যাবে না। স্লোগান হবে শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও সাংগঠনিক নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেন্দ্র করে। কোনো ব্যক্তির নামে স্লোগান না দিতে কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা মেনে নেয়া হবে না বলেও জানা গেছে।

এর আগে উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে ভাই বন্দনার কারণে দুই পক্ষে চেয়ার ছোঁড়াছুড়ি হয়। সেখানে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

শৃঙ্খলার বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শুধু স্লোগান হবে বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নামে। সম্মেলনেস্থলে কেউ বিশৃঙ্খলা করলে সাংগঠনিকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে৷

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব গাজী মেসবাহউল হক সাচ্চু চ্যানলে আই অনলাইনকে বলেন: সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোনো ব্যক্তির নামে স্লোগান দেয়া যাবে না। এ বিষয়ে নেতাকর্মীদের করা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শুধু স্লোগান হবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে।

১৯৯৪ সালের ২৭ জুলাই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। সাবেক এমপি হাজী মকবুল হোসেনকে আহ্বায়ক করে প্রথম কমিটি হয়। ২০০৩ সালের ২৭ জুলাই সংগঠনের প্রথম সম্মেলনে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সভাপতি ও পংকজ দেবনাথ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের ২০০৯ সালের জাতীয় সম্মেলনে আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সাংগঠনিক সম্পাদক হলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের তৎকালীন সহসভাপতি অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার প্রথমে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এবং পরে সভাপতি মনোনীত হন। ২০১২ সালের ১১ জুলাই সংগঠনের দ্বিতীয় সম্মেলনে মোল্লা মো. আবু কাওছারকে সভাপতি এবং পংকজ দেবনাথ এমপিকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ছাড়া এবারের সম্মেলনে হচ্ছে। ক্যাসিনোকাণ্ডে নাম আসায় সংগঠনের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছারকে অব্যহতি দেয়া হয়। সভাপতিকে অব্যাহতি দেয়ার একদিন পরই সাধারণ সম্পাদক পংকজ দেবনাথকে সম্মেলনের কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।

আওয়ামী লীগ