স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। মহামারির শুরু থেকেই দেশে দেশে এই ভাইরাস অর্থনীতি বিপর্যস্ত এবং ব্যাপক প্রাণহানি ঘটালেও বাংলাদেশ শক্তভাবে তা মোকাবিলা করেছে। তবে বাংলাদেশের যে খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তা হলো- শিক্ষাখাত।

করোনা মহামারির প্রথম ধাপে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর ধাপে ধাপে মাসের পর মাস বন্ধ রাখতে হয়েছে। এটা শিক্ষার্থীদের জীবন রক্ষার জন্যই করতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা হলেও ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ায় সর্বশেষ গত ২১ জানুয়ারি আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ করা হলেও এখনো স্কুল খোলা হয়নি।

এ নিয়ে আজ আশার আলো দেখিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। করোনার কারণে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ থাকলেও এ সময়সীমা আর না বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন তিনি। ডা. দীপু মনি বলেন: আমরা দেখতে পাচ্ছি করোনার সংক্রমণের হার কমছে। এটা ভালো খবর। আমরা আশা করছি, এই হার আরও কমবে৷ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন আর যাতে ব্যাহত না হয়, সেজন্য শ্রেণিকক্ষে যে পাঠদান বন্ধ আছে আশা করছি সেটা আর বাড়াতে হবে না

এমন প্রেক্ষাপটে কথা বলেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকও। তিনি মানিকগঞ্জের এক অনুষ্ঠানে বলেছেন: করোনা সংক্রমণ কমে আসায় স্কুল খুলে দিলে সমস্যা হবে না বলে আমরা আশা করি। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে যেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়। যেসব ছেলে-মেয়েরা এখনও টিকা নেয়নি তারা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনার টিকা নিয়ে নেয়। এ ব্যাপারে স্কুল কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব দিতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল দুই মন্ত্রীর এমন আশাবাদে আমরা আশ্বস্ত হতে চাই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্কুল খুলে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পুরোদমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে বলে আমরা আশাবাদী। এজন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো বিকল্প নেই।

ওমিক্রনকরোনাভাইরাসশিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধসম্পাদকীয়স্কুল খোলাস্কুল বন্ধ