স্বরশ্রুতির ব্যতিক্রমী আবৃত্তি প্রযোজনা ‘ধরিত্রী’

‘পৃথিবী আমাদের সম্পত্তি নয়, আমরা পৃথিবীর। একে আমরা পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে পাইনি, পরবর্তী প্রজন্মের কাছ থেকে ধার করেছি।’ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক রেড ইন্ডিয়ান নেতা ১৮৫৪ সালে এমন কথা লিখেছিলেন। যে কথার প্রাসঙ্গিকতা আজও ফুরাবার নয়। এ কথাগুলোর সারাংশকে ধ্রুব ধরেই তৃতীয় বারের মত মীর মাসরুর জামান রনির গ্রন্থনায় ‘ধরিত্রী’ নামে ব্যতিক্রমী একটি আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্বরশ্রুতি।

এর আগেও দুইবার ‘ধরিত্রী’ নামে ব্যতিক্রমী আবৃত্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে স্বরশ্রুতি। ২৪ নভেম্বর হতে যাচ্ছে ‘ধরিত্রী’র তৃতীয় মঞ্চায়ন। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র জাতীয় নাট্যশালার মূল মঞ্চে শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টায় হবে প্রকৃতি নিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী এই আবৃত্তি অনুষ্ঠান।

যেখানে আবৃত্তি পরিবেশন করবেন মো. আহকাম উল্লাহ, মীর মাসরুর জামান রনি, প্রণয় পলিকার্প রোজারিও, আশরাফুল আলম রাসেল, সেগুফতা ফারহাৎ সেঁজুতি ও জিনিয়া ফেরদৌসসহ মোট ৪১ জন আবৃত্তি শিল্পী।

প্রকৃতি নিয়ে ধরিত্রীর মতো পরিবেশনার ভাবনা কীভাবে মাথায় এলো? এমন প্রশ্নে স্বরশ্রুতির সাধারণ সম্পাদক ও ধরিত্রীর নির্দেশক মীর মাসরুর জামান রনি বলেন: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক রেড ইন্ডিয়ান নেতা ১৮৫৪ সালে একটি চিঠি লিখেছিলেন। মার্কিন সরকার রিজার্ভ ফরেস্ট তৈরির জন্য রেড ইন্ডিয়ানদের সিয়াটলের আবাসভূমি ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিলে, তখনকার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাঙ্কলিন পিয়ার্সকে চিঠিতে তিনি লেখেন, পৃথিবী আমাদের সম্পত্তি নয়, আমরা পৃথিবীর। একে আমরা পূর্ব পুরুষের কাছ থেকে পাইনি, পরবর্তী প্রজন্মের কাছ থেকে ধার করেছি।’

বেশ ক’বছর আগে ‘উন্নয়ন পদক্ষেপ’ ম্যাগাজিনে চিঠিটির বাংলা অনুবাদ পড়েছিলাম। ওই চিঠিকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ পরিবেশবাদী দলিল বলা হয়ে থাকে। কাব্যিক বিন্যাসে লেখা চিঠিটির সাহিত্যমূল্যও অসাধারণ। সেখান থেকেই ‘ধরিত্রী’র চিন্তা মাথায় আসে।

এমন আয়োজন নিয়ে তিনি আরো বলেন, আমরা চাই, স্বরশ্রুতি’র নিবেদন ‘ধরিত্রী’ প্রিয় বাসভূমির জন্য আমাদের মমতাকে আরও একটু জাগিয়ে তুলুক। পৃথিবীর ক্ষতি করে, ছোট বড় এমন যেকোনো কাজ থেকে আমাদের ফেরাক। তাহলে ভালো মন্দ মিলিয়ে এ পরিবেশনার উদ্দেশ্যটি অন্তত সফল হবে।

ধরিত্রীপ্রণয় পলিকার্প রোজারিওলিড বিনোদনশিল্পকলাস্বরশ্রুতি