ওপেনার হিসেবে আবির্ভাব। ওপেনিংয়ে দুর্দান্ত খেলেই তারকাখ্যাতি। ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে অনেক ম্যাচেই বাংলাদেশের জয়ের নায়ক সৌম্য সরকার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে স্কোয়াডে আছেন সাত নম্বরে ব্যাট করার বিবেচনায়।
সোমবার বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো দলের ব্যাটিংঅর্ডার বদলের আভাস দেন। সৌম্যকে যে টপঅর্ডারে দেখা যাবে না, সে ধারণা তিনিই সবার আগে সংবাদমাধ্যমকে দেন।
টাইগারদের নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল মঙ্গলবার অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে জানালেন, সৌম্যকে সাত নম্বরের জন্য তৈরি হওয়ার বার্তা বেশ আগেই দেয়া হয়েছিল।
‘সাত নম্বরে, আমি নিশ্চিত গতকাল কোচ আপনাদের একটা ইঙ্গিত দিয়েছে। যেটা স্পষ্ট করতে চাই যে, বার্তাটা ঐ ক্রিকেটারকে দেয়া হয়েছিল ৪ থেকে ৫ মাস আগে। এটা এমন এক জায়গা যেখানে আমরা এখন পর্যন্ত আদর্শ কোনো একজনকে খুঁজে পাইনি। যদি শেষ ৬-৭ বছর দেখেন। এখন যদি কাউকে না পাওয়া যায় তখন কাউকে তৈরি করতে হয়।’
‘সৌম্যকে আমরা এই কথাটা বলেছি প্রেসিডেন্টস কাপের আগে। যে এই পজিশনে আমরা তোমাকে ব্যাট করতে দেখতে চাই, স্কিলফুলি ও মেন্টালি তৈরি হও। এটা কারো জন্যেই সারপ্রাইজ হয়ে আসেনি। আপনাদের(সাংবাদিক) জন্য একটু হতে পারে।’
‘আমাদের মধ্যে এই কথা কিন্তু আগে থেকেই জানা ছিল। আর ঐ ক্রিকেটার ৪-৫ মাস আগে থেকেই জানত। শুধু সৌম্য না, এখানে মিঠুন আছে, আফিফ আছে। এই স্পটে আমাদের দুই-তিনজন আছে। এই জায়গাটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ, যা মনে করি।’
প্রশ্ন উঠেছে ব্যাটিং পজিশন নিয়ে দল থেকে স্পষ্ট বার্তা থাকলেও বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপে কেনো প্রতি ম্যাচেই ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন সৌম্য। এ ব্যাপারে তামিম বললেন, ‘সৌম্যকে আমরা প্রেসিডেন্ট কাপের আগেই বলেছি, যদি সম্ভব হয় ৬/৭-এ না হলেও অন্তত ৫-এ ব্যাটিং করবি। বার্তাটা খুবই পরিষ্কার ছিল। আমার জন্য বলাটা কঠিন হবে (সৌম্য কেনো করেনি) কারণ ও যদি আমার দলে থাকতো, তাহলে ওভাবেই করাতাম।’
সাত নম্বরে স্পেশালিস্ট কাউকে পেতে অপেক্ষা কম করেনি বাংলাদেশ। গত কয়েক বছরে নাসির হোসেন, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, আরিফুল হকের মতো ব্যাটিং অলরাউন্ডারদের দিয়ে চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কেউই জায়গা ধরে রাখতে পারেননি। এখন ওপেনার সৌম্যকে বিবেচনা করা হচ্ছে সাতের ভাবনায়।